জীবনের প্রতিটি ধাপেই মানুষকে মুখোমুখি হতে হয় নানারকম সমস্যার আর নিতে হয় সিদ্ধান্ত। সিদ্ধান্তের
ভালো-খারাপের ওপরেই নির্ভর করে একজন মানুষের ভবিষ্যত। একজন সফল মানুষের জীবনে তাই সিদ্ধান্তের
একটি বড় আর গুরুত্বপূর্ণ জায়গা রয়েছে। আসুন তাই জেনে নিই গুরুত্বপূর্ণ
কাজে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে যে বিষয় গুলো মাথা রাখতে হবে। পদ্ধতিগুলো যেগুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই সফলদের মত সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা যায়।
১। আবেগের বশে কিছু না করাঃ
যেকোন ব্যাপারে চট করে নেওয়া প্রথম সিদ্ধান্তটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের আবেগের প্রকাশই হয়ে থাকে। আর তাই সেটা বাস্তবতাসম্পন্ন আর বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক নাও হতে পারে। তাই কোন কিছু শোনার পরপরই যেটা মাথায় আসবে সেটা না করে নিজেকে একটু সময় দিন। প্রথমেই কোন সিদ্ধান্তে চলে আসবেন না।
যেকোন ব্যাপারে চট করে নেওয়া প্রথম সিদ্ধান্তটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের আবেগের প্রকাশই হয়ে থাকে। আর তাই সেটা বাস্তবতাসম্পন্ন আর বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক নাও হতে পারে। তাই কোন কিছু শোনার পরপরই যেটা মাথায় আসবে সেটা না করে নিজেকে একটু সময় দিন। প্রথমেই কোন সিদ্ধান্তে চলে আসবেন না।
২। সিদ্ধান্তকে নিয়মে বদলে ফেলাঃ
প্রত্যেকটি জিনিসেরই কাজের সীমাবদ্ধতা থাকে। সীমাবদ্ধতা থাকে মানব মস্তিষ্কেরও। আর তাই দৈনন্দিন জীবনের ছোটখাটো সিদ্ধান্তগুলোকে নিয়মে বদলে ফেলুন। এতে করে বড় বড় সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার ব্যাপারে চাপ কম পড়বে ও সেগুলো আরো বেশি সঠিক হবার ক্ষেত্র পাবে।
প্রত্যেকটি জিনিসেরই কাজের সীমাবদ্ধতা থাকে। সীমাবদ্ধতা থাকে মানব মস্তিষ্কেরও। আর তাই দৈনন্দিন জীবনের ছোটখাটো সিদ্ধান্তগুলোকে নিয়মে বদলে ফেলুন। এতে করে বড় বড় সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার ব্যাপারে চাপ কম পড়বে ও সেগুলো আরো বেশি সঠিক হবার ক্ষেত্র পাবে।
৩। খুঁত বের করাঃ
নিজের সিদ্ধান্তের পেছনে যতটা না সময় খরচ করবেন তার ঠিক সমপরিমাণ সময় দিন সেটার খুঁত বের করার ক্ষেত্রে। আপনার কাজকে আপনার চাইতে আর কেউ ভালো জানেনা। তাই সেটার বাজে দিকগুলোও সবার চাইতে বেশি জানবেন আপনিই। তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আগে বাছাই করুন সেটার কী কী সমস্যা আছে আর তার সমাধান আপনার হাতের নাগালে কিনা।
নিজের সিদ্ধান্তের পেছনে যতটা না সময় খরচ করবেন তার ঠিক সমপরিমাণ সময় দিন সেটার খুঁত বের করার ক্ষেত্রে। আপনার কাজকে আপনার চাইতে আর কেউ ভালো জানেনা। তাই সেটার বাজে দিকগুলোও সবার চাইতে বেশি জানবেন আপনিই। তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আগে বাছাই করুন সেটার কী কী সমস্যা আছে আর তার সমাধান আপনার হাতের নাগালে কিনা।
৪। সময় ভাগ করে নেওয়াঃ
দিনের সময়কে ভাগ করে নিন সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে। ছোট সিদ্ধান্তগুলো খাওয়ার পরের জন্যে রেখে দিন। সকালবেলা মস্তিষ্ক সবচাইতে বেশি সতেজ থাকে। বড় সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার জন্যে এ সময়টাকে বাছুন। চেষ্টা করুন সকালেই নিজের সব বড় সিদ্ধান্তগুলোকে নিয়ে ফেলতে।
দিনের সময়কে ভাগ করে নিন সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে। ছোট সিদ্ধান্তগুলো খাওয়ার পরের জন্যে রেখে দিন। সকালবেলা মস্তিষ্ক সবচাইতে বেশি সতেজ থাকে। বড় সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার জন্যে এ সময়টাকে বাছুন। চেষ্টা করুন সকালেই নিজের সব বড় সিদ্ধান্তগুলোকে নিয়ে ফেলতে।
৫। পুরো ব্যাপারটিকে দেখাঃ
একটি সিদ্ধান্ত কেবল একটি জিনিসের ওপরই প্রভাব ফেলেনা। প্রভাব ফেলে আরো অনেকগুলো ব্যাপারের ওপর যেগুলো সেই কাজটির সাথে জড়িতে। আর তাই যেকোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বড় পরিসরে সেটার ফলাফলের প্রভাব চিন্তা করুন। আপনার বাকি সব পরিকল্পনায় কতটা সমস্যা সৃষ্টি করছে সেটি। যাচাই করে নিন ভালোভাবে।
একটি সিদ্ধান্ত কেবল একটি জিনিসের ওপরই প্রভাব ফেলেনা। প্রভাব ফেলে আরো অনেকগুলো ব্যাপারের ওপর যেগুলো সেই কাজটির সাথে জড়িতে। আর তাই যেকোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বড় পরিসরে সেটার ফলাফলের প্রভাব চিন্তা করুন। আপনার বাকি সব পরিকল্পনায় কতটা সমস্যা সৃষ্টি করছে সেটি। যাচাই করে নিন ভালোভাবে।
৬। বিষয়টি ভালোভাবে জানুনঃ
কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিষয়টির আগাগোড়া খুব ভালো করে জেনে নিন। তাহলে বিষয়টি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া আপনার জন্য অনেক সহজ হবে।
কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিষয়টির আগাগোড়া খুব ভালো করে জেনে নিন। তাহলে বিষয়টি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া আপনার জন্য অনেক সহজ হবে।
৭। সমাধান খুঁজুনঃ
কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বা মনস্থির করার জন্য প্রতিটি মানুষেরই নিজের একটা পদ্ধতি থাকে। কাজেই বেশি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলে আগে আপনি আপনার নিজের চেনা পথটাই বেছে নিন। তাহলে সঠিক সিদ্ধান্তে আসা আপনার জন্য অনেক সহজ হবে।
কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বা মনস্থির করার জন্য প্রতিটি মানুষেরই নিজের একটা পদ্ধতি থাকে। কাজেই বেশি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলে আগে আপনি আপনার নিজের চেনা পথটাই বেছে নিন। তাহলে সঠিক সিদ্ধান্তে আসা আপনার জন্য অনেক সহজ হবে।
৮। নিজেকে প্রশ্ন করুনঃ
কোন বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলে নিজেকে বারবার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন। নিজের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেলে তবেই সিদ্ধান্ত নিন।
কোন বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলে নিজেকে বারবার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন। নিজের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেলে তবেই সিদ্ধান্ত নিন।
৯। অভিজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলুনঃ
যার জীবনে এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে বা একই পরিস্থিতিতে পড়েছেন এমন কারো সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলুন। কেননা একই পরিস্থিতিতে ভিন্ন ভিন্ন মানুষের অভিজ্ঞতা আপনাকে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রচণ্ড সহায়তা করবে। ফলে সহজেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
যার জীবনে এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে বা একই পরিস্থিতিতে পড়েছেন এমন কারো সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলুন। কেননা একই পরিস্থিতিতে ভিন্ন ভিন্ন মানুষের অভিজ্ঞতা আপনাকে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রচণ্ড সহায়তা করবে। ফলে সহজেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
১০। ভয়ে পেয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন নাঃ
ভয়ের কারণে বা ভয় পেয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না। আবার ভয়টাকে অবহেলাও করবেন না। কেননা এতে ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ভয়ের কারণে বা ভয় পেয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না। আবার ভয়টাকে অবহেলাও করবেন না। কেননা এতে ঝুঁকি বেড়ে যায়।
১১। কঠিন সিদ্ধান্ত দেরিতে নিনঃ
হুট করেই যে কোন কঠিন সিদ্ধান্ত নিবেন না। এত হিতে বিপরীত হতে পারে। বরং কঠিন সিদ্ধান্ত মনে হলে বিষয়টা নিয়ে ভাবা একেবারেই ছেড়ে দিন। মনকে মনের মত থাকতে দিন। তাহলে কিছুদিন পর আপনা থেকে বুঝতে পারবেন যে আপনাকে কী করতে হবে।
হুট করেই যে কোন কঠিন সিদ্ধান্ত নিবেন না। এত হিতে বিপরীত হতে পারে। বরং কঠিন সিদ্ধান্ত মনে হলে বিষয়টা নিয়ে ভাবা একেবারেই ছেড়ে দিন। মনকে মনের মত থাকতে দিন। তাহলে কিছুদিন পর আপনা থেকে বুঝতে পারবেন যে আপনাকে কী করতে হবে।
১২। বিকল্প উপায় খুঁজুনঃ
সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিকল্প উপায়গুলো আরও একটু ভেবে রাখুন। এতে পরবর্তীতে কোন সমস্যা হলে বিকল্প পথগুলো আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিকল্প উপায়গুলো আরও একটু ভেবে রাখুন। এতে পরবর্তীতে কোন সমস্যা হলে বিকল্প পথগুলো আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
১৩। একাধিক অপশন বেছে নিনঃ
প্রত্যেক সিদ্ধান্তেই একাধিক অপশন থাকে। সম্ভব হলে প্রতিটি অপশন ট্রাই করে দেখুন। যেটা ভালো লাগে সেটা বেছে নিন।
প্রত্যেক সিদ্ধান্তেই একাধিক অপশন থাকে। সম্ভব হলে প্রতিটি অপশন ট্রাই করে দেখুন। যেটা ভালো লাগে সেটা বেছে নিন।
১৪। সিদ্ধান্ত কখনই পারফেক্ট হয় নাঃ
যে কোন সিদ্ধান্ত কখনো পারফেক্ট হয় না। এই সত্যটা মেনে নিলে দেখবেন মনের ওপর থেকে চাপ অনেকটাই কমে গেছে। সেইসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়াও আপনার জন্য কত সহজ হচ্ছে।
১৫। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রাখুনঃযে কোন সিদ্ধান্ত কখনো পারফেক্ট হয় না। এই সত্যটা মেনে নিলে দেখবেন মনের ওপর থেকে চাপ অনেকটাই কমে গেছে। সেইসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়াও আপনার জন্য কত সহজ হচ্ছে।
কেবল বর্তমানকে ভেবে সিদ্ধান্ত নেবেন না। তাহলে বিপদে পরতে পারেন। বরং ভবিষ্যতের হিসাব করে তবেই সিদ্ধান্ত নিন। এতে আপনার জন্যই ভালো হবে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
0 comments:
Post a Comment