ইন্টেরিয়র ডিজাইন বলতে সাধারণত আমরা বুঝি একটি বাড়ি দেখতে কেমন হবে, কতটা ভিন্ন হবে কিংবা কীভাবে চমকে অন্যকে দেওয়া যাবে ইত্যাদি। আর সেজন্য আমরা কতইনা নতুন নতুন নকশা খুঁজে বের করি কিন্তু এটা মূল কাজের একটা ছোট্ট অংশ মাত্র।
কখনো কি ভেবে দেখেছেন আপনার বাড়ির নকশা আপনার মনে প্রভাব ফেলতে পারে। শুধু তাই নয়, নিয়ন্ত্রণ করতে পারে আপনার ভাল থাকা, মন্দ থাকা। আপনার অবচেতন মনে আবাস্থলের নকশার প্রভাবের উপর রয়েছে মনোবিজ্ঞানীদের
নানান গবেষণা। নিজের স্বপ্নের আবাসনকে সাজানোর আগে জেনে নিন এই গবেষণাগুলোর
ফলাফল কি বলছে!
আমাদের মনস্তত্ত্বের উপর বাড়ির রঙের প্রভাব কেমন করে পরে আসুন জেনে নিই-
পোশাকে রঙের প্রভাব আমরা সবাই লক্ষ্য করি। কোন রঙ আমাদের মনকে ফুরফুরে করে তোলে আবার কোন রঙ যে মুডটাই অফ করে দেয়। রঙ দিয়েই আমরা চিনি পৃথিবীকে, পৃথিবীর বস্তুগুলোকে।
কখনো ভেবে দেখেছেন, সব বস্তু যদি একই রঙের হত কেমন হত তাহলে? সব বৈচিত্র্যই যেন হারিয়ে যেত, তাই না? মনের উপর রঙের এই প্রভাব শুধু প্রকৃতিতে বা পোশাকে নয়, সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আর আপনার ঘর যেখানে কিনা আপনি কাটাবেন দিনের একটা দীর্ঘ সময় তার রংটা আপনাকে প্রভাবিত করবে না, তাই কি হয়?
“রং একটি বিশ্বজনীন, অব্যাক্ত ভাষা আর আমরা সবাই জানি কিভাবে এটি কথা বলে” বললেন লেসলি হ্যারিংটন। তিনি ওল্ড গ্রীনউইচ, কন এর রং বিষয়ক উপদেষ্টা এবং আবাসিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক সজ্জায় রঙের ব্যবহার বিশেষজ্ঞ। তিনি আরও বলেন, “আপনার ঘরের দেয়ালে আপনি কোন রং করছেন এটি শুধু নান্দনিকতার
বিষয় নয়, এটি এমন একটি অনুসংগ যা প্রভাব ফেলে আপনার আবেগ এবং আচরণে।”
আধুনিক রঙ মনোবিজ্ঞানের গোড়াপত্তন হয় ১৯ শতকে। Johann Wolfgang von Goethe সে সময় একটি বই প্রকাশ করেন। ‘Theory of Colours’ নামের বইটি রঙ সম্পর্কে মানুষের ধারণাই বদলে দেয়। বইটি নিয়ে বিভিন্ন তর্ক বিতর্কের পর মানুষের মস্তিষ্কে রঙের এই প্রভাবগুলো সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা একমত হতে পেরেছেন। হ্যারিংটন এবং ওলফগ্যাং
হলুদ
হলুদ মানেই আনন্দ, সৃষ্টিশীলতা, সৃজনশীলতা। প্রকৃতির কাছাকাছি যদি হয় আপনার ঘরটি তাহলে ব্যবহার করতে পারেন এই রংটি। বারান্দার দেয়ালেও সুন্দর মানিয়ে যাবে উজ্জ্বল হলুদ রংটি। আপনার বেডরুমের একটি দেয়ালকে আলো ঝলমলে করে দিতে পারেন হলুদ, সাথে লাগাতে পারেন কিছু ইনডোর গাছ।
হলুদ মানেই আনন্দ, সৃষ্টিশীলতা, সৃজনশীলতা। প্রকৃতির কাছাকাছি যদি হয় আপনার ঘরটি তাহলে ব্যবহার করতে পারেন এই রংটি। বারান্দার দেয়ালেও সুন্দর মানিয়ে যাবে উজ্জ্বল হলুদ রংটি। আপনার বেডরুমের একটি দেয়ালকে আলো ঝলমলে করে দিতে পারেন হলুদ, সাথে লাগাতে পারেন কিছু ইনডোর গাছ।
কমলা
স্বক্রিয়তা এবং সৃষ্টিশীলতা বাড়ায় এই রংটি। এটি একটি পার্শ্ববর্তী রঙ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। মূল রঙ কমলা হলে তা অতিরিক্ত লাগতে পারে। ডাইনিং রুম বা রান্নাঘরের জন্য কমলা বেছে নিতে পারেন। বাচ্চাদের রুমেও চমৎকার মানিয়ে যাবে রংটি।
স্বক্রিয়তা এবং সৃষ্টিশীলতা বাড়ায় এই রংটি। এটি একটি পার্শ্ববর্তী রঙ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। মূল রঙ কমলা হলে তা অতিরিক্ত লাগতে পারে। ডাইনিং রুম বা রান্নাঘরের জন্য কমলা বেছে নিতে পারেন। বাচ্চাদের রুমেও চমৎকার মানিয়ে যাবে রংটি।
সবুজ
সবুজ মানেই যেন শীতলতা। বড় হলঘর বা বাড়ির প্রবেশমুখে লাগাতে পারেন এই রংটি। সারাদিনের কাজ শেষে যখনই ফিরবেন ঘরে চোখে নেমে আসবে প্রশান্তি।
সবুজ মানেই যেন শীতলতা। বড় হলঘর বা বাড়ির প্রবেশমুখে লাগাতে পারেন এই রংটি। সারাদিনের কাজ শেষে যখনই ফিরবেন ঘরে চোখে নেমে আসবে প্রশান্তি।
লাল
শক্তি এবং ক্ষমতার প্রতীক হল লাল রঙ। কোন জায়গাকে উষ্ণতা দিতে ব্যবহার করতে পারেন এই রংটি। একই সাথে রংটি বাড়ায় অন্তরঙ্গতা।
রং বিশেষজ্ঞ হ্যারিংটনের মতে, “আপনার ডাইনিং এর রং যদি হয় লাল, মানুষ ভাববে আপনি ভাল রান্না করেন।” বিষয়টা হাস্যকর মনে হলেও সত্যি। আপনি যদি চান, অতিথি পেট পুরে খাবে আপনার বাড়িতে তাহলে ডাইনিং রুমের এর দেয়াল করুন লাল রং।
নীল
শান্তি এবং ফ্রেশ একটা অনুভূতি দেয় নীল রঙ। হ্যারিংটন বলেন, ” লাল রং ব্লাড প্রেশার, হার্ট রেট সহ বিভিন্ন স্পন্দনক্রিয়া বাড়ায়। নীল রং কাজ করে একদম বিপরীত ভাবে, মনে আনে বিশ্রাম।” তাই আপনার শোবার ঘরের রংটি হতে পারে নীল। তবে গাঢ় নীল, কারণ তা ঘুমের জন্য ভাল।
শান্তি এবং ফ্রেশ একটা অনুভূতি দেয় নীল রঙ। হ্যারিংটন বলেন, ” লাল রং ব্লাড প্রেশার, হার্ট রেট সহ বিভিন্ন স্পন্দনক্রিয়া বাড়ায়। নীল রং কাজ করে একদম বিপরীত ভাবে, মনে আনে বিশ্রাম।” তাই আপনার শোবার ঘরের রংটি হতে পারে নীল। তবে গাঢ় নীল, কারণ তা ঘুমের জন্য ভাল।
নীল ক্ষুধা কমাতেও সাহায্য করে। আপনি যদি ডায়েট করতে চান তাহলে রান্নাঘরে নীল রঙ ব্যবহার করতে পারেন। বাথরুমে শীতল শান্ত অনুভূতি পেতে নীল বেছে নিন।
কালো
ক্ষমতাকে ঘোষণা করে কালো রঙ। আপনার যে জিনিসটি আপনি সকলের দৃষ্টিগোচর করতে চান সেই জিনিসটিকে দিন কালো ব্যাকগ্রাউন্ড।
ক্ষমতাকে ঘোষণা করে কালো রঙ। আপনার যে জিনিসটি আপনি সকলের দৃষ্টিগোচর করতে চান সেই জিনিসটিকে দিন কালো ব্যাকগ্রাউন্ড।
ধূসর
মনকে প্রশান্ত করে ধূসর রঙ। বাড়ির কোন একরুমকে যদি অফিস রুম হিসেবে ব্যবহার করতে চান তাহলে সেখানে ব্যবহার করতে পারেন এই রংটি।
মনকে প্রশান্ত করে ধূসর রঙ। বাড়ির কোন একরুমকে যদি অফিস রুম হিসেবে ব্যবহার করতে চান তাহলে সেখানে ব্যবহার করতে পারেন এই রংটি।
বেগুনী
আভিজাত্য এবং বিলাসিতার রঙ বেগুনী। লিভিং রুম এবং মাস্টার বেডরুমের জন্য এটি একটি চমৎকার পছন্দ।
আভিজাত্য এবং বিলাসিতার রঙ বেগুনী। লিভিং রুম এবং মাস্টার বেডরুমের জন্য এটি একটি চমৎকার পছন্দ।
বাদামী
সবুজের মতই বাদামী যেন নিয়ে যায় মনকে প্রকৃতির কাছে। যে রুমটিতে সবাই মিলিয়ে জমিয়ে আড্ডা হবে সেই রুমের দেয়ালে ব্যবহার করু এই রঙ। গবেষণায় দেখা গেছে, বাদামী রঙ মানুষের কথা বলার আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়।
সবুজের মতই বাদামী যেন নিয়ে যায় মনকে প্রকৃতির কাছে। যে রুমটিতে সবাই মিলিয়ে জমিয়ে আড্ডা হবে সেই রুমের দেয়ালে ব্যবহার করু এই রঙ। গবেষণায় দেখা গেছে, বাদামী রঙ মানুষের কথা বলার আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়।
সাদা
পরিচ্ছন্নতা এবং পবিত্রতার প্রতীক সাদা রঙ। কোন স্পেসকে বড় দেখাতে হলে সাদা রঙের জুড়ি নেই। তাই আপনার কোন ঘর যদি একটু ছোট হয় তার দেয়ালে দিতে পারেন সাদা রঙ। ঘরটিকে আবদ্ধ মনে হবে না তাহলে।
পরিচ্ছন্নতা এবং পবিত্রতার প্রতীক সাদা রঙ। কোন স্পেসকে বড় দেখাতে হলে সাদা রঙের জুড়ি নেই। তাই আপনার কোন ঘর যদি একটু ছোট হয় তার দেয়ালে দিতে পারেন সাদা রঙ। ঘরটিকে আবদ্ধ মনে হবে না তাহলে।
মনে রাখবেন, আপনি যখন আপনার ঘরের জন্য কোন রঙ পছন্দ করছেন তখন যে কোন একটি রঙ বেছে নেওয়ার বদলে বেছে নিন ৩টি রঙ। দেয়াল বা ফ্লোরের জন্য বেছে নিন প্রকৃতির কাছাকাছি কোন রঙ। আসবাবগুলোকে দিন শীতল রঙ, আর ঘর সাজানোর বাকি জিনিসগুলো ব্যবহার করুন উজ্জ্বল কোন একটি রঙের। রঙের বৈচিত্র্য যত মানানসই হবে সে ঘরে শান্তিও তেমনি বজায় থাকবে।
আমাদের মনস্তত্ত্বের উপর বাড়ির আকৃতি, জানালার ধরণ, বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা এসবের প্রভাব কেমন করে পরে আসুন জেনে নিই-
গৃহসজ্জা প্রকাশ করে আপনার ব্যক্তিত্বঃ
সমাজবিজ্ঞানী Jean Baudrillard তার ‘The System of Objects’ বইতে গৃহসজ্জার ব্যাপারে আলাদাভাবে জোর দেন। দেয়ালে রঙ দেওয়ার পরের কাজটিই হল সেই রঙের সাথে মিলিয়ে আপনার ঘরের সাজ কেমন হবে সেটা। জায়গাকে পূর্ণ করছে এমন প্রতিটি জিনিসই মানুষের কাছে আপনার পছন্দ সম্পর্কে একটি মেসেজ দেয়। জিনিসটি যে কোন কিছুই হতে পারে। দেয়ালের একটি ওয়ালম্যাট থেকে শুরু করে ফুলদানির নীচের ম্যাটটি পর্যন্ত আপনার ব্যক্তিত্ব তুলে ধরে।
সমাজবিজ্ঞানী Jean Baudrillard তার ‘The System of Objects’ বইতে গৃহসজ্জার ব্যাপারে আলাদাভাবে জোর দেন। দেয়ালে রঙ দেওয়ার পরের কাজটিই হল সেই রঙের সাথে মিলিয়ে আপনার ঘরের সাজ কেমন হবে সেটা। জায়গাকে পূর্ণ করছে এমন প্রতিটি জিনিসই মানুষের কাছে আপনার পছন্দ সম্পর্কে একটি মেসেজ দেয়। জিনিসটি যে কোন কিছুই হতে পারে। দেয়ালের একটি ওয়ালম্যাট থেকে শুরু করে ফুলদানির নীচের ম্যাটটি পর্যন্ত আপনার ব্যক্তিত্ব তুলে ধরে।
মানুষ আপনার গ্ররহসজ্জাকে মূল্যায়ণ করে ৩ ভাবে।
প্রতীকী-
আপনার পছন্দের জিনিসগুলো কি কোনভাবে আবেগের সাথে জড়িত? আপনি কি একটি পারিবারিক ছবিকে দেয়ালে জায়গা দিয়েছেন নাকি কোন প্রিন্ট করা পেইন্টিং বেছে নিয়েছেন ঘর সাজাতে?
আপনার পছন্দের জিনিসগুলো কি কোনভাবে আবেগের সাথে জড়িত? আপনি কি একটি পারিবারিক ছবিকে দেয়ালে জায়গা দিয়েছেন নাকি কোন প্রিন্ট করা পেইন্টিং বেছে নিয়েছেন ঘর সাজাতে?
বিনিময় মূল্য-
দামের সাথে জিনিসগুলোর প্রয়োজনীয়তার সামঞ্জস্য আছে তো? অর্থাৎ, আপনার ব্যয় করার ধরণ কেমন? আপনি কি একটা বেডরুম স্যুটের সমান দামে শুধু একটি সোফা ক্রয় করবেন?
দামের সাথে জিনিসগুলোর প্রয়োজনীয়তার সামঞ্জস্য আছে তো? অর্থাৎ, আপনার ব্যয় করার ধরণ কেমন? আপনি কি একটা বেডরুম স্যুটের সমান দামে শুধু একটি সোফা ক্রয় করবেন?
কতটা কাজের-
জিনিসটি কি আপনার কাজের? অর্থাৎ সেটা জরুরী ছিল বলে ব্যাবহার করা নাকি নেহায়েতই সৌখিনতা? ডাইনিং টেবিলটা কি পুরো পরিবারের একসাথে বসার জন্য পারফেক্ট?
জিনিসটি কি আপনার কাজের? অর্থাৎ সেটা জরুরী ছিল বলে ব্যাবহার করা নাকি নেহায়েতই সৌখিনতা? ডাইনিং টেবিলটা কি পুরো পরিবারের একসাথে বসার জন্য পারফেক্ট?
চিহ্ন-
জিনিসগুলোর সাথে কি কোন চিহ্নের সংযোগ আছে? কোন প্রতীক? কোন ব্রান্ডের প্রতীক অথবা কোন জাতির বিশেষ কোন নিদর্শন? নাকি শুধু গৃহসজ্জাই তার কাজ?
জিনিসগুলোর সাথে কি কোন চিহ্নের সংযোগ আছে? কোন প্রতীক? কোন ব্রান্ডের প্রতীক অথবা কোন জাতির বিশেষ কোন নিদর্শন? নাকি শুধু গৃহসজ্জাই তার কাজ?
এই পয়েন্টগুলো পড়তে পড়তে আপনি নিজেই নিশ্চয়ই ধরে ফেলেছেন আপনার কোন কাজটি আপনার সম্পর্কে মানুষকে কি তথ্য দিতে পারে। আপনি যদি সব আসবাব পরিবারের সবার কথা মাথায় রেখে কেনেন তাহলে বোঝা যায় আপনি একজন সৌহার্দ্রপূর্ণ
আবেগী মানুষ। পরিবারের সাথে আপনার সম্পর্ক ভাল। আপনার ঘরের কর্ণারটি যদি নানান বন্ধুদের স্মৃময় ছবিতে পরিপূর্ণ থাকে তাহলে বোঝা যায়, আপনি আপনার জীবনে সময়ের মূল্য অর্থ দিয়ে নয়, ভালোবাসা দিয়ে দেন। আপনার ব্যয় যদি অযথা দামী জিনিসের ক্ষেত্রে বেশী হয় তাহলে বোঝা যায় আপনি কেমন অর্থ প্রতিপত্তির
মালিক তা সবাইকে বোঝাতে চাইছেন।
তাই নিজের ঘর সাজানোর আগে এই বিষয়গুলো ভাবুন। আপনি হয়ত ভিন্নধর্মী মানুষ। কিন্তু কেনাকাটায় সতর্ক না থাকার কারণে আপনার গৃহসজ্জা আপনার সম্পর্কে মানুষকে ভুল তথ্য দিতে পারে। আবার একইসাথে আপনার মনের ছবি যদি আপনার ঘরে প্রকাশিত না হয় তা আপনাকেও অস্থির করে দেবে। দেখা যাবে, আপনি কিছুদিন পরপরই আসবাব বদলে দিচ্ছেন। এক দেয়ালের ছবি অন্য দেয়ালে সরিয়ে নিচ্ছেন। তার চেয়ে বরং কেনাকাটার সময় আপনার ব্যক্তিত্বের
ধরণটাকে বুঝে মিলিয়ে কিনুন।
Perception of Space:
ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররা ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে একটা কনসেপ্ট ফলো করেন। একে বলা হয় ‘Perception of Space’। তারা চেষ্টা করেন ঘরের জায়গা এমনভাবে ব্যবহার করতে যাতে মনে হয় ঘরটি বেশ বড়। ঘরে যত বেশী ফাকা জায়গা থাকবে তত আপনার মন ভাল লাগবে। অতিরিক্ত আসবাব ঘরের সৌন্দর্য্যই শুধু নষ্ট করে না, আপনার মুডও নষ্ট করে দেয়।
ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররা ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে একটা কনসেপ্ট ফলো করেন। একে বলা হয় ‘Perception of Space’। তারা চেষ্টা করেন ঘরের জায়গা এমনভাবে ব্যবহার করতে যাতে মনে হয় ঘরটি বেশ বড়। ঘরে যত বেশী ফাকা জায়গা থাকবে তত আপনার মন ভাল লাগবে। অতিরিক্ত আসবাব ঘরের সৌন্দর্য্যই শুধু নষ্ট করে না, আপনার মুডও নষ্ট করে দেয়।
কখনো কি এমন হয়েছে যে আপনি কারও বাসায় বেড়াতে গেলেন আর বাড়িতে ঢুকেই আপনার বিরক্তি অনুভূত হতে লাগল? কখন বের হবেন এমন একটা অস্থিরতা বোধ হতে থাকলো? আমরা আসলে কখনো খেয়াল করি না যে আমাদের এই অস্থিরতার কারণ লুকিয়ে থাকে ঘরের স্পেস ম্যানেজমেন্টের মাঝে।
আপনি যদি আপনার ঘরকে আরও প্রশস্ত এবং বড় দেখাতে চান তাহলে ভারি আসবাবের বদলে হালকা নকশার আসবাব ব্যবহার করুন। পেছনের দেয়ালে লাগান একটি বড় আয়না। চেষ্টা করুন একই ধরণের আসবাব কিনতে, সম্ভব হলে একই রঙের অথবা কম্বিনেশনের। বিভিন্ন কোনায় ব্যবহার করুন আলোকসজ্জা।
Feng Shui:
এটি একটি চাইনিজ শিল্প। আপনি যদি আপনার জীবনে অভূত পরিবর্তন আনতে চান তাহলে তা শুরু করতে পারেন আপনার ইন্টেরিয়র ডিজাইন থেকেই। প্রাচীন চাইনিজ আর্ট ফেং সুই ৩ হাজার বছর ধরে সারা বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বলা হয়, ফেং সুই এর পদ্ধতিগুলো সৌভাগ্যকে আকর্ষণ করে, সাফল্য, ভালোবাসা এবং ইতিবাচক শক্তিকে জীবনে বয়ে আনে। ফেং সুই তত্ত্ব ঘরের সজ্জায় গুরুত্ব দেয় প্রকৃতিকে। কৃত্রিমতার পরিবর্তে আদিমতাকে সে নিয়ে আসে ঘরের কোণায় কোণায়।
এটি একটি চাইনিজ শিল্প। আপনি যদি আপনার জীবনে অভূত পরিবর্তন আনতে চান তাহলে তা শুরু করতে পারেন আপনার ইন্টেরিয়র ডিজাইন থেকেই। প্রাচীন চাইনিজ আর্ট ফেং সুই ৩ হাজার বছর ধরে সারা বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বলা হয়, ফেং সুই এর পদ্ধতিগুলো সৌভাগ্যকে আকর্ষণ করে, সাফল্য, ভালোবাসা এবং ইতিবাচক শক্তিকে জীবনে বয়ে আনে। ফেং সুই তত্ত্ব ঘরের সজ্জায় গুরুত্ব দেয় প্রকৃতিকে। কৃত্রিমতার পরিবর্তে আদিমতাকে সে নিয়ে আসে ঘরের কোণায় কোণায়।
আপনার বাড়ির প্রবেশপথ পরিচ্ছন্ন রাখুন। দরজার রঙ এবং পথের সজ্জা হোক এমন যা মানুষকে স্বাগত জানায়। ফল, পাথর, গাছ, মাটিকে প্রাধান্য দিন গৃহসজ্জায়। বাতাস চলাচলকে বন্ধ নাকরে বরং যত বেশী পারা যায় আলো এবং বাতাস প্রবেশের পথ খোলা রাখুন।
এই সব কিছুই আপনার মস্তিষ্কে শান্তি এবং আনন্দের বার্তা দেবে। অবচেতন মন বাড়িতে প্রবেশ করলেই প্রশান্ত অনুভব করবে। বাড়ির প্রতি একটা আকর্ষণ, মায়ার বন্ধন তৈরি হবে আপনার। শুধু মাথা গোজার ঠাই নয়, বাড়ি হবে এমন জায়গা যেখানে মেলে শরীর এবং মনের সর্বোচ্চ আরাম। শুধু আবাসস্থল নয়, বাড়ি হোক আপনার পরম বন্ধু।
সূত্রঃ প্রিয়.কম
0 comments:
Post a Comment