Sunday, February 26, 2017

মানসিক বিভিন্ন চাপের কারণে অনেক সময় মনোবল হারিয়ে ফেলি আমরা। অনেক সময় আবার চিন্তাগত ত্রুটির কারণেও মনোবল কমে যায়। আর মনোবল কমে গেলে কাজের গতি ব্যাহত হয়। এতে ব্যর্থতা, হতাশা গ্রাস করে আরো বেশি। তাই মনোবল বাড়ানো জরুরি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সালমা পারভিন বলেন, ‘মানুষের জীবনকে চালিয়ে নেওয়ার জন্য মনোবল ধরে রাখাটা খুব জরুরি। পরিস্থিতি মোকাবিলার শক্তি মানুষকে এগিয়ে নেয়।’
মনোবল কেন কমে
মনোবিশেষজ্ঞ সালমা পারভিনের মতে :
  • যখন মানুষ তার নিজের ক্ষমতা, সীমাবদ্ধতা বা দুর্বলতা সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা না রাখে, তখন মনোবল কমে যায়। এ সময় মানুষ নিজের অক্ষমতা, দুর্বলতা, সীমাবদ্ধতার দিকে বেশি মনোযোগ দেয়। আর এতে মনোবল কমে।
  • চাপমূলক পরিস্থিতিতে অনেকের মনোবল কমে যায়।
  • যখন অন্যের নেতিবাচক কথা দিয়ে বেশি প্রভাবিত হয়।
  • বারবার ব্যর্থ হতে থাকলে।
  • খুব সহজেই যেকোনো উপসংহার বা সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়ার প্রবণতা থেকে এমন হয়। চিন্তার ত্রুটিগত কারণ এর জন্য দায়ী। এতে মনোবল কমে।
  • অনেকে নিজের কাজের জন্য অন্যকে দোষারোপ করে। নিজের ব্যর্থতার দায় নিজে নিতে চায় না। এটি পক্ষান্তরে নিজের শক্তি কমায়।
  • অনেকের ব্যক্তিত্বের ধরন থাকে অল্পতেই নার্ভাস বা হতাশ হয়ে যাওয়ার। তাদের ক্ষেত্রে মনোবল কমে যায়। একবার ব্যর্থ হওয়ার পর ওই কাজ আর করতে চায় না। সাফল্যের চেষ্টা করে না। এটিও মনোবল কমিয়ে দেয়।
  • অনেকে ভাবে আমাকে পারতেই হবে বা করতেই হবে। তখন একটি বাড়তি চাপ কাজ করে। এতে মনোবল হারায়। সেটি না করে একটু বলা ভালো আমি কাজটি করার চেষ্টা করব। আর চেষ্টা করলে কিছু ভালো জিনিস আসে। এতে মনোবল বাড়ে।

মনোবল বাড়াতে
১. নিজের সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখা। নিজের ইতিবাচক গুণাবলি নিয়ে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে। প্রয়োজনে নিজের ভেতর ইতিবাচক যেসব জিনিস রয়েছে, সেগুলোর তালিকা তৈরি করতে হবে। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে—‘আমি পারি’।
২. নিজের ক্ষমতাকে অন্যের সঙ্গে তুলনা না করা। একবার ব্যর্থ হলে সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে চলা।
৩. কোনো সমস্যা সমাধান করতে না পারলে অন্যদের সহযোগিতা নেওয়া। নিজেকে বলা, অন্য কেউ পারলে আমিও পারব।
৪. প্রথমেই সবকিছু ভয়ংকর বা চাপমূলক না ভাবা। বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ বা জটিল না ভাবা।
৫. কোনো কাজে খুব হতাশ লাগলে নিজেকে বলা, আচ্ছা ঠিক আছে ‘চেষ্টা করে দেখি’। শিথিল থাকার চেষ্টা করা। এতে মনের ওপর চাপ কম পড়ে। তখন ব্যর্থতার পরিমাণ কম হয়।
৬. ব্যায়াম করা।
৭. ইতিবাচক চিন্তা বাড়ানো।
৮. ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব বেশি চিন্তা না করে বর্তমানের নিজের কাজটা ঠিকমতো করে যাওয়া। নিজের কাজ চালিয়ে গেলে ধাপে ধাপে সফলতা আসবে।

0 comments:

Post a Comment

Powered by Blogger.

Contact us

Name

Email *

Message *

Followers

Featured Posts

Social Icons

Pages

Facebook

Video

সর্বাধিক পঠিত

Our Facebook Page

Text Widget