Saturday, February 18, 2017

অমর হবার ইচ্ছা মানুষের চিরন্তন কিন্তু বাস্তবে অমর হওয়া সম্ভব না হলেও হৃদযন্ত্রের সঠিক যত্ন নিলে দীর্ঘায়ূ লাভ করা যায়। হৃদয় সুস্থ রাখতে বাড়তি কিছু করার দরকার নেই, এর জন্য সুশৃঙ্খল জীবন যাপনই যথেষ্ট। অতি সম্প্রতি স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে হার্ট ভালো রাখার কিছু উপায় তুলে ধরা হয়েছে, চারপাশের পাঠকদের জন্য সেই প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হল।
১। লবণ খাওয়া কমানো : অতিরিক্ত লবণ উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী। এর ফলে হৃদপিণ্ডের রক্তসরবরাহকারী ধমনী সম্পর্কিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২। ধূমপান এড়িয়ে চলুন : ধূমপানের ফলে আয়ু ১৫ থেকে ২৫ বছর কমে যায়। একজন ধূমপায়ীর হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা একজন অধূমপায়ীর তুলনায় দ্বিগুণ। ধূমপান বন্ধ করার মুহূর্ত থেকেই হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা কমতে থাকে।
৩। অ্যালকোহলের মাত্রা কমানো : অতিরিক্ত অ্যালকোহল হৃদপেশির ক্ষতি করে। রক্তচাপ বাড়ায় এবং পাশাপাশি ওজনও বৃদ্ধি করে। তাই অ্যালকোহল গ্রহণ বাদ দেওয়া শরীরের জন্য ভালো। একবারে বাদ দেওয়া সম্ভব না হলে প্রতিদিন একটু একটু করে কমানোর চেষ্টা করতে হবে।
৪। ডায়েট মেনে চলা : সবসময় সুষম খাবার খাওয়া উচিত। তাজা ফল এবং সবজি, শষ্যজাতীয় খাবার যেমন- শষ্য থেকে তৈরি রুটি ও ভাত ইত্যাদি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।
৫। নিয়মিত পরীক্ষা : নিয়মিত শরীর পরীক্ষা করলে দেহের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সাহায্য করে। তাই রুটিন অনুযায়ী রক্তচাপ, শর্করা এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করান।
৬। কর্মচঞ্চল থাকা : প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করা উচিত। তাছাড়া কর্মক্ষম থাকা কেবল হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখার জন্যই নয় এটি মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৭। ক্লান্তির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ : যদি দেখা যায়, আপনি ঠিক মতো খেতে পারছেন না, ধূমপান বা মদ্য পান বেশি করছেন। তাহলে বুঝতে হবে আপনার ভেতর অবসাদ কাজ করছে। অতিরিক্ত ধূমপান ও মদ্য পান হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই অবসাদ নিয়ন্ত্রণের জন্য যোগ ব্যায়াম বা ধ্যান বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।
৮। কোমড়ের মাপ নিয়ন্ত্রণ : রক্তনালীতে কোলেস্টেরল জমে অনেক ক্ষতিসাধন করে এতে করে ওজন বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত ওজন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
৯। হাসি হৃদয় সুস্থ রাখে : হাসি মানব দেহ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। হাসির মাধ্যমে হৃদযন্ত্রের চাপ কমানো সম্ভব।
(ইন্টারনেট অবলম্বনে)

0 comments:

Post a Comment

Powered by Blogger.

Contact us

Name

Email *

Message *

Followers

Featured Posts

Social Icons

Pages

Facebook

Video

সর্বাধিক পঠিত

Our Facebook Page

Text Widget