Saturday, April 8, 2017

গ্রীষ্মের দাবদাহে সব বয়সী মানুষের প্রাণই ওষ্ঠাগত প্রায়। তবে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় শিশুরা। এই গরমে তাদের যত্ন নিতে হবে। তাহলেই শিশুরা থাকবে সুস্থ এবং প্রাণবন্ত। তাই জেনে নিন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য ও পরামর্শ:
—একটি শিশুর শরীরে গড়ে প্রতিদিন এক থেকে দেড় লিটার পানি প্রয়োজন হয়। শিশুরা ঘামে বেশি, তাই প্রচুর পরিমাণ পানি পান করাতে হবে। মৌসুমি ফলের মধ্যে তরমুজ, আনারস, আম, কাঁঠাল, লিচু, আঙুর, বাঙ্গি, আপেল খাওয়াতে পারেন। এ ক্ষেত্রে শিশুর পছন্দকে গুরুত্ব দিন। ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা কোমল পানীয় বা কৃত্রিম জুস পান করাবেন না। এগুলো শিশুর জন্য ক্ষতিকর।
—এ মৌসুমে শিশুরা ভাইরাসজনিত জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে, যা পাঁচ-সাত দিন স্থায়ী হয়। অনেক সময় বোঝা যায় না, শিশুকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া উচিত কি না। জ্বর ১০০ ডিগ্রি হলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়াতে পারেন। শিশুকে ভারী কাপড়ে না ঢেকে বরং পাতলা জামাকাপড় পরাবেন। ঘরের ফ্যান চালিয়ে রাখুন।
—গরমে শিশুদের চুলের গোড়া ঘেমে যায়। তাই চুল যতটা সম্ভব ছোট রাখাই ভালো। এতে চুলের গোড়া ঘেমে গেলেও তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। যেসব শিশুর ঠান্ডার সমস্যা আছে, তাদের চুল কখনোই বড় রাখা উচিত না। গোসলের পর চুল ভালোভাবে মুছে দিন। বড় ফাঁকওয়ালা চিরুনি দিয়ে চুল ঠিকভাবে আঁচড়ানো উচিত। এরপর চুল শুকিয়ে গেলে তা ভালোভাবে বেঁধে দিন। রোদ থেকে ঘরে ফিরেই সঙ্গে সঙ্গে শিশুকে গোসল করানো থেকে বিরত থাকুন।
—গ্রীষ্মকালে শিশুকে প্রতিদিনই গোসল করাতে হবে। ঠান্ডা বা সর্দি-কাশির ভয়ে অনেকে সন্তানকে গোসল করাতে চান না। কিন্তু প্রচণ্ড গরমে শরীরের ঘাম জমে গিয়ে আরও অসুখ-বিসুখের শঙ্কা থাকে। গোসলের সময় শিশুর গায়ে সাবান দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। তবে শ্যাম্পু বেশি ব্যবহার না করাই ভালো, সপ্তাহে দুদিনই যথেষ্ট। গোসলের পর শিশুর শরীর ও মাথা ভালো করে মুছে দিয়ে পাউডার লাগানো ভালো। এতে করে ঘামাচির যন্ত্রণা থেকে শিশু থাকবে নিরাপদ। শিশুর ব্যবহৃত প্রসাধন সামগ্রী যেন অবশ্যই ভালো মানের হয়।
—ঘামাচির যন্ত্রণা বেশি হলে শিশুকে হিস্টাসিন বা অ্যান্টিহিস্টামিন সিরাপ দিন। এতেও চুলকানি না কমলে হাইড্রোকর্টিসন (১%) মলম দিনে ২ বার করে ৫ থেকে ৭ দিন লাগাতে হবে। গরমের সময় লোশন ব্যবহার মোটেও ঠিক নয়। এতে বাচ্চার শরীরে ঘাম জমে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
—গরমে শিশুদের অবশ্যই নরম ও পাতলা সুতি কাপড়ের ঢিলেঢালা পোশাক পরাতে হবে। কেননা, শিশুরা ঘামে বেশি। ঢিলেঢালা পোশাকে বাতাস ঢুকতে পারে, এতে সহজেই ঘাম শুকিয়ে যায়। এ ছাড়া থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট পরালে আরাম পাবে।
—গ্রীষ্ম ও বর্ষায় পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব যায় বেড়ে। তাই সাবধান। খাওয়ানোর আগে শিশুর ব্যবহৃত বাটি, প্লেট সেদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। খাবার পানি ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। খাবার তৈরি ও পরিবেশনের আগে হাত ভালো করে ধুয়ে নিন।

0 comments:

Post a Comment

Powered by Blogger.

Contact us

Name

Email *

Message *

Followers

Featured Posts

Social Icons

Pages

Facebook

Video

সর্বাধিক পঠিত

Our Facebook Page

Text Widget