Friday, May 5, 2017

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস অনেকের- যা একেবারেই অনুচিত। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দৈনিক ২৩০০ মিলিগ্রামের বেশি লবণ প্রয়োজন নেই। এর বেশি লবণ খেলেই শুরু হয়ে যায় নানা স্বাস্থ্যগত সমস্যা। বাড়তি লবণ খেলে স্ট্রোক থেকে শুরু করে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা শুরু হতে পারে।

চলুন জেনে নেয়া যাক অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কুফল সম্পর্কে-   

# পাকস্থলী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কাঁচা লবণ অধিক পরিমাণে খেলে।
# অতিরিক্ত লবণ খেলে কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
# অতিরিক্ত লবণ খেলে রক্তের সোডিয়াম বেড়ে যায়। ফলে উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা দেখা দেয়।
বেশি লবণ খাওয়ার কারণে রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে গেলে কমতে থাকে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ। এতে হাড় ক্ষয় হতে থাকে। 
# প্রয়োজনের অতিরিক্ত লবণ খেলে শরীরের তরল পদার্থ বিলীন হতে থাকে। এতে হাত ও পায়ে পানি চলে আসে।
# হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় কাঁচা লবণ।
পানিশূন্যতা, ঘনঘন পানির পিপাসা লাগা, বমি ভাব এমনকি ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে শরীরে লবণের আধিক্য দেখা দিলে।
প্রতিদিনের কাজের চাপে মাথা ব্যাথা, পিঠব্যাথা বা পা-ব্যাথা হতেই পারে। আর এ থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে অনেকেই ওষুধ খেয়ে থাকে। যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই ব্যাথা কমানোর জন্য প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া কিছু প্রতিষেধক ব্যবহার করা যেতে পারে।
 
ব্যাথা একটি বিরক্তিকর রোগ। বিভিন্ন কারণে মানুষের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাথা হতে পারে। যেমন অতিরিক্ত ঠাণ্ডা থেকে, বিছানায় ভুল ভাবে ঘুমানোর জন্য, এবং হঠাৎ কোনো শারীরিক পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে, এ ধরণের ব্যাথা হয়ে থাকে। তাই ওষুধের বদলে প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া কিছু প্রতিষেধক খেয়েও শরীরের ব্যাথা উপশম করা যায়।

চলুন জেনে নেই এমন কিছু খাবারের নাম ও বৈশিষ্ট্য যা শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা হতে মুক্তি দিতে পারে।

কফি: ক্যাফেইন ব্যাথা নিরাময়ে বেশ কার্যকর। বিশেষ করে পেশি ও মাথা-ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে কফি বেশ উপযোগী। প্রতিদিন দুই কাপ কফি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

আদা: অ্যান্টিইনফ্লামাটরি উপাদান সমৃদ্ধ আদা বাতের ব্যাথা, পেট ও বুকের ব্যাথা এমনকি মাংসপেশির প্রদাহের কারণে হওয়া ব্যাথা উপশমে সহায়ক। আদা ছেঁচে একটি পরিষ্কার কাপড়ে পেঁচিয়ে ব্যাথার স্থানে চেপে ধরে রাখলে আরাম পাওয়া যাবে।

হলুদ: ‘স্পাইস কারকউমিন’ নামক একটি উপাদানের কারণে হলুদ রং হয়ে থাকে এই মসলায়। আর এতে আছে প্রচুর অ্যান্টিইনফ্লামাটরি উপাদান যা অনেক ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের মতো কাজ করে থাকে। তাই মাংসপেশি এবং শরীরের বিভিন্ন সংযোগ স্থলে ব্যাথা উপশমে হলুদ বেশ উপকারী। দুধের সঙ্গে মিশিয়ে বা চায়ের সঙ্গে হলুদ সেবন করলে উপকার পাওয়া যাবে।

লবণ: গোসলের সময় কুসুম গরম পানিতে ১০ থেকে ১৫ টেবিল-চামচ লবণ মিশিয়ে ১৫ মিনিট এ পানিতে শরীর ভিজিয়ে রাখুন। এই লবণ পানি শরীরের পেশি এবং কোষ শিথীল করে এবং ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে।

টক দই: পেট ফাঁপা, জ্বলুনি এবং ব্যাথা কমাতে দই বেশ উপযোগী। দইয়ের ব্যাক্টেরিয়া হজমে সহায়তা করে ফলে পেটের ব্যাথা বা জ্বলুনি কমিয়ে আরাম দেয়। প্রতিদিন এক বাটি টক দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

লাল আঙুর: রেসভেরাট্রল নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতির কারণে এই আঙুরের রং এমন লালচে হয়ে থাকে। আর এই উপাদান পিঠ ব্যাথাসহ বিভিন্ন ব্যাথা উপশমে সহায়তা করে। এক মুঠো পরিমাণ লাল আঙুর খেলে ব্যাথা কিছুটা কমে আসবে।

মরিচ: মরিচে রয়েছে ক্যাপসাইসিন নামক একটি উপাদান যা বিভিন্ন ধরনের ব্যাথানাশক ক্রিমে পাওয়া যায়। এই উপাদান স্নায়ুকে আরাম দেয় এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে মরিচ খাওয়ার অভ্যাস করা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
ছোটবেলায় দড়ির লাফ খেলেননি, এমন মানুষ খুব কম। বিদ্যালয়গুলোতেও তখন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ভেতর দড়ির লাফ ছিল অন্যতম। এই মজার খেলাটিই কিন্তু আপনার শরীরের জন্য খুব উপকারী একটি ব্যায়াম। স্বাস্থ্য ফিট রাখতে, ওজন কমাতে, শরীরের ঘাম ঝরাতে দড়ি লাফের বিকল্প খুব কম। 

চলুন জেনে নেই দড়ির লাফের কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-
১। এই এক্সারসাইজ করতে আপনাকে একেবারে পারদর্শী হতে হবে তা নয়। বিগিনার থেকে অ্যাডভান্স সবাই এটি করতে পারবে। নিয়মিত এই এক্সারসাইজ হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে।
২। বেশিরভাগ সময় বাইরে দৌড়াতে যেতে হবে চিন্তা করে আলসেমি ঘিরে ধরে। তবে হাতের কাছে দড়ি থাকলে আর ঘরের বাইরে যেতে হবে না। ঘরেই করতে পারবেন। তাই খারাপ আবহাওয়া আপনার ফিটনেস রুটিনে আর বাধা নয়।
৩। দেহের চর্বি ঝরাতে এর জুড়ি নেই। দৌড়ানোর চেয়ে স্কিপিং বেশি ক্যালোরি বার্ন করতে সক্ষম। এক ঘন্টা স্কিপিং-এ ১৩০০ ক্যালোরি খরচ হয়।
৪। দড়ি লাফ ব্যায়ামের সবচেয়ে সস্তা উপায়। একটি রোপ হলেই হল। এটি আপনার মাংসপেশিকে টোন করতে সাহায্য করবে।
৫। এটি আপনার হাত পা একসাথে চালানো ব্যাল্যান্স করবে সাথে শরীরের অন্য অঙ্গ প্রতঙ্গ। তাই সব অ্যাথলেটরাই স্কিপ্পিং চর্চা করেন। শরীরের সামঞ্জস্য রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়াম।
৬। গবেষণায় দেখা গেছে যে, স্কিপিং আপনার জয়েন্টে কম চাপ তৈরি করে দৌড়ানোর চেয়ে। তাই দৌড়ানোর চেয়ে স্কিপিং ভালো ব্যায়াম হিসেবে পরিচিত। যেহেতু স্কিপিং এর ফলে হার্ট বিট ফার্স্ট হয় তাই এটি আপনাকে আলাদা করে কার্ডিও ভাস্কুলার এক্সারসাইজ করতে হবে না।
৭। দড়ি লাফের কারণে আপনার ফুল বডি ওয়ার্ক আউট হবে। এটা থাই টান টান করতে খুব কার্যকর। এমন কি হাত ও হিপের মাংসপেশি টান টান করে।
তেল, ঝাল, মশলা সব খাচ্ছেন। হাত ধুচ্ছেন, মুখ ধুচ্ছেন। কিন্তু রোজ কিডনি পরিষ্কার করছেন কি? দূষিত পদার্থ জমে জমে বারোটা বাজছে কিডনির। হাতের কাছেই আছে সমাধান। কীভাবে পরিষ্কার করবেন কিডনি? দেখুন, কিডনি পরিষ্কারের ঘরোয়া টোটকা।
বছরের পর বছর, দিনের পর দিন কিডনি ঠিক এভাবেই ছাঁকনির কাজ করে চলে। লবন, বিষ এবং অবাঞ্ছিত পদার্থ শরীরে ঢুকতে বাধা দেয়। কিন্তু কিডনি অকেজো হয়ে গেলে শরীরের ক্ষতিকর বর্জ্য রক্তে জমা হয়। তখন বেঁচে থাকাই মুশকিল।
মারাত্মক ডায়েরিয়া বা শরীরে পানির অভাবে কিডনির দফারফা হতে পারে। টাইফয়েড বা ডেঙ্গুজ্বর, অকারণ অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথা কমানোর ওষুধের সাইড এফেক্ট থেকে কিডনির সমস্যা হতে পারে।
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনির নিজস্ব কিছু রোগের কারণে কিডনির ক্রনিক সমস্যা তৈরি হয়। শেষ ধাপ এন্ড স্টেজ রেনাল ডিজিজ।তখন প্রয়োজন ডায়ালিসিস অথবা কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট। ফাস্ট লাইফস্টাইল, চূড়ান্ত ব্যস্ততার জীবনে কিডনির সমস্যায় ভোগেন না, এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম। তাহলে কিডনি ভাল রাখার উপায় কী? হাতের কাছেই রয়েছে চটজলদি সমাধান।
পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিতে হবে একআঁটি ধনেপাতা। কুচি কুচি করে কেটে পাত্রে রাখতে হবে ধনেপাতা। পাত্রে কিছুটা পরিষ্কার জল নিয়ে ১০ মিনিট ফোটাতে হবে। ঠাণ্ডা হলে ছেঁকে পরিষ্কার বোতলে রাখতে হবে। ফ্রিজে রেখে দেওয়া যেতে পারে ওই বোতল। প্রতিদিন একগ্লাস করে ধনেপাতার জুস খেলেই হাতেনাতে মিলবে ফল। কিডনির মধ্যে জমে থাকা লবন এবং বিষাক্ত পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যাবে।
শুধু কিডনিই নয়। ধনেপাতা মহৌষধ। একআঁটি ধনেপাতায় রয়েছে ১১% ফাইবার, ৪% প্রোটিন, ১% ক্যালরি, ১% কার্বোহাইড্রেট, ১% ফ্যাট। ম্যাঙ্গানিজ ২১%, পটাসিয়াম ১৫%, কপার ১১%, আয়রন ১০%, ক্যালসিয়াম ৭%। এতে রয়েছে ৩৮৮% ভিটামিন k, ১৩৫% ভিটামিন A, ৪৫% ভিটামিন C, ১৬% ফলেট।
ধনেপাতায় হাজার গুণ। এগজিমা সারায়, বমিভাব কমায়, পেটের গণ্ডগোল কমায়, আলসার সারায়, সতেজ হয় শ্বাস-প্রশ্বাস, হজমে সাহায্য করে, ব্লাড প্রেশার কমায়, অ্যানিমিয়া কমায়, ডায়াবেটিসে প্রচুর উপকার মেলে। হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। কনজাংটিভাইটিস থেকে চোখকে রক্ষা করে ধনেপাতা। স্মল পক্স প্রতিরোধ করে ধনেপাতা।
Powered by Blogger.

Contact us

Name

Email *

Message *

Followers

Featured Posts

Social Icons

Pages

Facebook

Video

সর্বাধিক পঠিত

Our Facebook Page

Text Widget