Friday, May 5, 2017

প্রতিদিনের কাজের চাপে মাথা ব্যাথা, পিঠব্যাথা বা পা-ব্যাথা হতেই পারে। আর এ থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে অনেকেই ওষুধ খেয়ে থাকে। যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই ব্যাথা কমানোর জন্য প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া কিছু প্রতিষেধক ব্যবহার করা যেতে পারে।
 
ব্যাথা একটি বিরক্তিকর রোগ। বিভিন্ন কারণে মানুষের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাথা হতে পারে। যেমন অতিরিক্ত ঠাণ্ডা থেকে, বিছানায় ভুল ভাবে ঘুমানোর জন্য, এবং হঠাৎ কোনো শারীরিক পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে, এ ধরণের ব্যাথা হয়ে থাকে। তাই ওষুধের বদলে প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া কিছু প্রতিষেধক খেয়েও শরীরের ব্যাথা উপশম করা যায়।

চলুন জেনে নেই এমন কিছু খাবারের নাম ও বৈশিষ্ট্য যা শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা হতে মুক্তি দিতে পারে।

কফি: ক্যাফেইন ব্যাথা নিরাময়ে বেশ কার্যকর। বিশেষ করে পেশি ও মাথা-ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে কফি বেশ উপযোগী। প্রতিদিন দুই কাপ কফি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

আদা: অ্যান্টিইনফ্লামাটরি উপাদান সমৃদ্ধ আদা বাতের ব্যাথা, পেট ও বুকের ব্যাথা এমনকি মাংসপেশির প্রদাহের কারণে হওয়া ব্যাথা উপশমে সহায়ক। আদা ছেঁচে একটি পরিষ্কার কাপড়ে পেঁচিয়ে ব্যাথার স্থানে চেপে ধরে রাখলে আরাম পাওয়া যাবে।

হলুদ: ‘স্পাইস কারকউমিন’ নামক একটি উপাদানের কারণে হলুদ রং হয়ে থাকে এই মসলায়। আর এতে আছে প্রচুর অ্যান্টিইনফ্লামাটরি উপাদান যা অনেক ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের মতো কাজ করে থাকে। তাই মাংসপেশি এবং শরীরের বিভিন্ন সংযোগ স্থলে ব্যাথা উপশমে হলুদ বেশ উপকারী। দুধের সঙ্গে মিশিয়ে বা চায়ের সঙ্গে হলুদ সেবন করলে উপকার পাওয়া যাবে।

লবণ: গোসলের সময় কুসুম গরম পানিতে ১০ থেকে ১৫ টেবিল-চামচ লবণ মিশিয়ে ১৫ মিনিট এ পানিতে শরীর ভিজিয়ে রাখুন। এই লবণ পানি শরীরের পেশি এবং কোষ শিথীল করে এবং ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে।

টক দই: পেট ফাঁপা, জ্বলুনি এবং ব্যাথা কমাতে দই বেশ উপযোগী। দইয়ের ব্যাক্টেরিয়া হজমে সহায়তা করে ফলে পেটের ব্যাথা বা জ্বলুনি কমিয়ে আরাম দেয়। প্রতিদিন এক বাটি টক দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

লাল আঙুর: রেসভেরাট্রল নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতির কারণে এই আঙুরের রং এমন লালচে হয়ে থাকে। আর এই উপাদান পিঠ ব্যাথাসহ বিভিন্ন ব্যাথা উপশমে সহায়তা করে। এক মুঠো পরিমাণ লাল আঙুর খেলে ব্যাথা কিছুটা কমে আসবে।

মরিচ: মরিচে রয়েছে ক্যাপসাইসিন নামক একটি উপাদান যা বিভিন্ন ধরনের ব্যাথানাশক ক্রিমে পাওয়া যায়। এই উপাদান স্নায়ুকে আরাম দেয় এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে মরিচ খাওয়ার অভ্যাস করা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

0 comments:

Post a Comment

Powered by Blogger.

Contact us

Name

Email *

Message *

Followers

Featured Posts

Social Icons

Pages

Facebook

Video

সর্বাধিক পঠিত

Our Facebook Page

Text Widget