Tuesday, January 31, 2017

আমরা সবাই জানি হাঁটাহাঁটি করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। নিয়মিত হাঁটলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে, ওজন কমে, মানসিক চাপ কমে। প্রতিদিন আপনি কতটা সময় হাঁটছেন, এই বিষয়টিও কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শরীর ঠিক রাখতে। ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা নিয়মিত যতক্ষণই হাঁটুন তার কিছু সুবিধা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
জীবনযাত্রাবিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে প্রতিদিন ৩০, ৪০, ৬০ মিনিট হাঁটলে কী উপকার হয়।
৩০ মিনিট হাঁটলে
বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন নিয়ম করে ৩০ মিনিট হাঁটলে মেজাজ ভালো থাকে। মানসিক চাপ ও বিষণ্ণতা কমে। নিয়মিত হাঁটলে মস্তিষ্ক থেকে সুখী হরমোন নিঃসরিত হয়। এতে মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল বাড়ে। নিয়মিত হাঁটলে শরীর শিথিল হয়। এ ছাড়া নিয়মিত আধা ঘণ্টা হাঁটলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে। রক্তনালি থেকে বাজে চর্বি দূর করতে সাহায্য করে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমে যায়।   
৪০ মিনিট হাঁটলে
সপ্তাহে তিনদিন নিয়মিত ৪০ মিনিট করে হাঁটলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে, মনোযোগ বাড়ে। মস্তিষ্কের যেই অংশ ভাবনা ও পরিকল্পনা করে নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করলে সেটিও সুরক্ষিত থাকে।   
৬০ মিনিট হাঁটলে
আপনি যদি প্রতিদিন নিয়ম করে এক ঘণ্টা হাঁটেন তাহলে আর মোটা হবেন না। হাঁটলে শরীরের বাড়তি ক্যালোরি খরচ হয়ে যায়। প্রতিদিন এক মাইল হাঁটলে শরীর থেকে ১০০ ক্যালোরি খরচ হয়।
৭৫ মিনিট হাঁটলে
আপনি কি জানেন, মাত্র এক সপ্তাহ যদি প্রতিদিন ৭৫ মিনিট করে হাঁটেন, তাহলে আপনার আয়ু অন্তত দুই বছর বাড়বে? হ্যাঁ, বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়, প্রতিদিন ৭৫ মিনিট করে হাঁটলে তা আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে।
পিঠব্যথার কারণগুলো মেরুদণ্ড এবং তার সহায়তাকারী মাংসপেশিগুলো থেকে উৎপন্ন হতে পারে অথবা শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলো যাদের স্নায়ু সরবরাহের কিছু শাখা পিঠে বিস্তৃত সেখান থেকেও পিঠব্যথা হতে পারে। শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায়ও পিঠের নিচের অংশে ব্যথা হতে পারে।
পিঠব্যথা থেকে রক্ষা পেতে
- দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না। যদি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ানোর প্রয়োজন দেখা দেয়, তাহলে একটি পা প্ল্যাটফর্মের ওপরে কিংবা টুলের ওপরে রেখে দাঁড়াতে হবে।
- চেয়ারে বসে কাজ করার সময় কিংবা চেয়ারে বসে থাকার সময় যদি চেয়ারটি আপনার পিঠকে ঠিকমতো সাপোর্ট দিতে না পারে তাহলে চেয়ার ও আপনার পিঠের মধ্যের ফাঁকা জায়গাটা পূরণে কুশন ব্যবহার করুন।
- ঘুমানোর সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করুন। যেমন : শক্ত তোষক বা জাজিমের ওপর ঘুমান।
- মুখ নিচের দিকে রেখে ঘুমাবেন না।
- চিৎ হয়ে ঘুমাবেন। যদি পাশ ফিরে ঘুমাতে চান,তাহলে সে পাশে একটি হাঁটু সামান্য বাঁকা করে ঘুমাবেন।
-পিঠব্যথা প্রতিরোধে নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করতে হবে। এসব ব্যায়াম করলে পেট ও পিঠের মাংসপেশি সবল হয়।
এসব ব্যায়ামের প্রতিটি ১০ বার করতে হবে। মাংসপেশির সবলতা বাড়লে ব্যায়ামের পরিমাণ আরো বাড়ানো যাবে। যদি কোনো ব্যায়ামে ব্যথা হয় তাহলে ওই ব্যায়াম বন্ধ করে দিতে হবে।
১. হাঁটু বাঁকা করে চিৎ হয়ে শুতে হবে। পেটের মাংসপেশিগুলো সঙ্কুচিত করে পিঠকে মেঝের বিপরীতে চাপ দিতে হবে। মনে মনে পাঁচ পর্যন্ত গুনে তার পর শিথিল করতে হবে।
২. হাঁটু বাঁকা করে চিৎ হয়ে শুতে হবে। যত দূর পারা যায় মাথা ও কাঁধ ওপরের দিকে তুলতে হবে। মনে মনে পাঁচ পর্যন্ত গুনে তার পর শিথিল করতে হবে।
৩. উপুড় হয়ে শুতে হবে। ডান পা সোজা রেখে যত দূর সম্ভব ওপরে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে, এ সময় হাঁটু কিছুতেই ভাঁজ করা যাবে না। মনে মনে পাঁচ পর্যন্ত গুনে তারপর ধীরে ধীরে পা নামাতে হবে। এরপর বাঁ পা একই রকম করতে হবে। প্রতি পায়ের জন্য পাঁচবার করতে হবে। কারো একবার পিঠব্যথা হলে ব্যথা সেরে যাওয়ার পর আবার যাতে এ ধরনের ব্যথা না হতে পারে, সেই লক্ষ্যে ব্যথা প্রতিরোধ করার জন্যও এসব ব্যায়াম করা যেতে পারে।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, অর্থোপেডিকস ও ট্রমাটোলজি বিভাগ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল
প্রাণ অর্থ শ্বাস রূপে গৃহিত বায়ু। যে ক্রিয়ায় দেহের প্রাণ শক্তি বৃদ্ধি পায়, ব্যাধি ও অকাল মৃত্যু জয় করা যায় তারই নাম প্রাণায়াম। রেচক, পূরক ও কুম্ভক—এই তিন প্রক্রিয়া দিয়ে প্রাণায়াম করা হয়। প্রাণায়াম অর্থ নিশ্বাস প্রশ্বাসের বিস্তার ও নিয়ন্ত্রণ। এই নিয়ন্ত্রণ শ্বাস-প্রশ্বাসের সব ক্রিয়ার ওপর। শ্বাস গ্রহণকে বলে পূরক, শ্বাসত্যাগকে বলে রেচক আর শ্বাস ধারণকে বলে কুম্ভক।
শ্বাস ত্যাগ করার পর যখন আমরা শ্বাস গ্রহণ করি তখন ফুসফুসে যে বাতাস প্রবেশ করে তাতে ফুসফুস মাত্র দুই-তৃতীয়াংশ প্রসারিত হয়। প্রাণায়ামে ফুসফুস সম্পূর্ণ প্রসারিত করা যায়। একজন সুস্থ মানুষ সাধারণত মিনিটে ১৭ থেকে ১৮ বার শ্বাস গ্রহণ করে। প্রাণায়ামে এই সংখ্যা ইচ্ছে মতো কমানো যায়। ঠিক মতো প্রাণায়াম করতে পারলে সর্দি, কাশি, হাঁপানি, মাথায় চোখে ও কানে যন্ত্রনা, স্নায়বিক উত্তেজনা প্রভিৃতি নানা রকম ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
প্রাণায়ামের উপকারিতা :
প্রাণায়াম করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়, যেমন—সারা শরীর সতেজ হয়, সর্দি কাশি, হাঁপানি, স্নায়বিক দুর্বলতা, শারীরিক ও মানসিক শান্তি একাগ্রতার অভাব, অনিদ্রা ইত্যাদিতে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এ ছাড়া হজম শক্তি বাড়ে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। সাইনাসের জন্য ভালো উপকার পাওয়া যায়। স্মৃতিশক্তি বাড়ে। রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুস সতেজ ও সবল হয়। অকাল বার্ধক্য দূর করা যায়। ত্বক ভালো থাকে।
এই লেখায় খুব সহজে করা যায় এমন কিছু সহজ প্রাণায়ামের পদ্ধতি বলব। যেগুলো আপনি সহজে  বাসায় করতে পারবেন এবং উপকৃত হবেন।
১) যেকোনো ধ্যান আসনে বসুন বা সোজা হয়ে দাঁড়ান। আস্তে আস্তে দুই নাক দিয়ে যতটা নিঃশ্বাস নিতে পারেন নিন। তারপর আস্তে আস্তে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়ুন। যতটা সময় ধরে নিঃশ্বাস নিয়েছেন ততটা সময় ধরে নিঃশ্বাস ছাড়ুন। নিঃশ্বাস ছাড়া হয়ে গেলে আবার আগের মতো দুই নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়ুন। এইভাবে তিন মিনিটে যতবার পারেন নিঃশ্বাস নিন এবং ছাড়ুন।
২) যেকোনো ধ্যান আসনে বসুন। চেয়ার বা খাটে মেরুদণ্ড সোজা রেখে বসতে পারেন। আপনার যেভাবে ইচ্ছা সেইভাবে বসে দুই নাক দিয়ে আস্তে আস্তে সজোরে ও সশব্দে যতখানি পারেন নিঃশ্বাস নিন। তারপর আস্তে আস্তে সজোরে ও সশব্দে দুই নাক দিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়ুন। যতক্ষণ ধরে নিঃশ্বাস নিয়েছেন, ঠিক ততক্ষণ ধরে নিঃশ্বাস ছাড়ুন। নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় চিবুক স্বাভাবিক স্থানে থাকবে, নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় চিবুক নামিয়ে কণ্ঠকূপের কাছে আনবেন। এই ভাবে ৮ থেকে ১০ বার করুন ।
৩) যেকোনো ধ্যান আসনে বসুন। তারপর আস্তে আস্তে দুই নাক দিয়ে যতখানি পারেন নিঃশ্বাস নিন। নিঃশ্বাস নেওয়া শেষ হলে মুখের পেশী ও স্নায়ুর ওপর জোর দিয়ে মুখ হা করে বেশ জোর দিয়ে আস্তে আস্তে নিঃশ্বাস ছাড়ুন। যতক্ষণ ধরে নিঃশ্বাস নেবেন, ঠিক ততক্ষণ ধরে নিঃশ্বাস ছাড়বেন। এই ভাবে ৮ থেকে ১০ বার করুন ।
৪) ধ্যান আসনে  বসে দুই নাক দিয়ে আস্তে আস্তে যতখানি পারেন নিঃশ্বাস নিন। তারপর দুই ঠোঁট এক করে পাখির ঠোঁটের মতো সরু করুন এবং সজোরে থেমে থেমে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়ুন। অর্থাৎ খানিকটা বাতাস বার করে দিয়ে একটু থামুন, তারপর আবার খানিকটা বাতাস বার করে দিয়ে একটু থামুন। এইভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার পর সব বাতাস বের করে দিন। এই ভাবে ১০ বার করুন।
এই প্রাণায়ামগুলো করলে আপনি এর উপকারিতা অনুভব করতে পারবেন। এই প্রাণায়ামগুলো ঠিকভাবে করতে না পারলেও ক্ষতির আশঙ্কা নেই। সুতরাং নির্ভয়ে এইগুলো করা যেতে পারে। আবাল বৃদ্ধ-বণিতা সবাই এই প্রাণায়াম করতে পারেন।
কোলেস্টেরল একধরনের চর্বি। সাধারণত দুই ধরনের কোলেস্টেরল আছে। একটি লো ডেনসিটি লাইপো প্রোটিন (এলডিএল) বা বাজে কোলেস্টেরল এবং অপরটি হাইডেনসিটি লাইপো প্রোটিন (এইচডিএল) বা ভালো কোলেস্টেরল।
শরীরের বাজে কোলেস্টেরল কমাতে কাজ করবে এমন কিছু খাবারের নাম জানিয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগ।
১. ওটমিল
ওটমিলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আঁশ। এটি বাজে কোলেস্টেরল তৈরি প্রতিরোধ করে।
২. রসুন
রসুনের মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহরোধী উপাদান। কোলেস্টেরল কমাতে রসুন বেশ উপকারী একটি খাদ্য।
৩. বাদাম
বাদামের মধ্যে রয়েছে ভালো পরিমাণের চর্বি। একমুঠো বাদাম, বিশেষ করে ওয়ালনাট বাজে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়।
৪. সবজি
সবজির মধ্যে আছে আঁশ। পালং শাক, ব্রকলি, বাজে কোলেস্টেরল তৈরিতে বাধা দেয়।
৫. ফল
কমলা, আঙ্গুর কোলেস্টেরল কমাতে কাজ করে। প্রতিদিন একটি আপেলও কিন্তু কোলেস্টেরল কমাতে কাজে দেয়।
৬. দারুচিনি
দারুচিনি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখুন। বিশেষত শীতের সময়। এটি রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের সঙ্গে লড়াই করে।
৭. পেঁয়াজ
পেয়াঁজের মধ্যে রয়েছে কিউরেকটিন। এটি ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়। প্রতিদিন একটি কাঁচা পেঁয়াজ সালাদের সঙ্গে রাখতে পারেন।
রোগ থেকে দেহকে সুরক্ষিত রাখতে ভালোভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করা প্রয়োজন। শুধু ব্যায়াম করা ছাড়াও ভালো ঘুম, ইতিবাচক চিন্তা এবং উপকারী খাবার খাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে কিছু খাবারের নাম, যেগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
প্রোবায়োটিকস
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রোবায়োটিকস খুব উপকারী। প্রোবায়োটিকস পাওয়ার সহজ উপায় হলো দই খাওয়া। দইয়ের মধ্যে এই উপাদান থাকে। গবেষণায় বলা হয়, প্রোবায়োটিকস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।
মাশরুম
গবেষণায় বলা হয়, মাশরুমের মধ্যে রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপাদান। এর মধ্যে রয়েছে পলিস্যাকারাইড। এটি বিভিন্ন রোগের হাত থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়।
ভিটামিন-ডি
ভিটামিন-ডি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি ঠান্ডা ও ফ্লুর হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। সূর্যের আলোয় পাওয়া যায় ভিটামিন-ডি। এ ছাড়া কিছু খাবারে থেকে সামান্য পরিমাণ ভিটামিন-ডি পেতে পারেন। বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ, যেমন : স্যামন, সারডিন ইত্যাদিতে পাবেন এটি; এ ছাড়া ডিম, দুধ থেকে পেতে পারেন ভিটামিন-ডি।
গ্রিন টি
নিয়মিত গ্রিন টি পান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা বাড়াতে কাজ করে। গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যালের সঙ্গে লড়াই করতে কাজ করে।
রসুন
রসুনের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল। এটি সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করে। কেবল ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে নয়, এটি প্যারাসাইটিস, ভাইরাস ও ফাঙ্গাসের সঙ্গেও লড়াই করে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
বিকেল অতিক্রান্ত হলেই কোথায় চলে যায় আপনার শক্তি? প্রত্যেক দিনই কি শক্তি নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার একই অনুভূতি হয়? আপনি কি লক্ষ করেছেন শিশুরা আপনার চারপাশে কী সুন্দরভাবে ছোটাছুটি করে বেড়াচ্ছে, আর আপনি বসে আছেন নিজেকে শূন্য করে! একেই বলে অবসাদ, অনীহা, ক্লান্তি, আলস্য কিংবা অবসন্নতা। প্রতি বছর কয়েক লাখ লোক ডাক্তারের কাছে যান শুধু একটি মাত্র প্রশ্নের উত্তর জানতে, কেন তারা কোনো কিছুতেই উৎসাহবোধ করেন না?

কখনো কখনো তাদের ক্লান্তি বা অবসাদের একটা স্পষ্ট কারণ থাকে যেমন- রক্তস্বল্পতা, বিষণ্ণতা, থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা, ঘুমের সমস্যা কিংবা শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া। আবার কখনো মারাত্মক কোনো শারীরিক সমস্যার কারণে দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি বা অবসাদবোধ হতে পারে। যদি আপনি দীর্ঘ দিন ধরে ক্লান্তি বোধ করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

তবে অনেক গোপন কারণেও দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তিবোধ হতে পারে যার সাধারণত সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।

বর্তমান লেখাটিতে বেশ কিছু উপায়ের কথা উল্লেখ করা হলো, যা মেনে চললে দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি বা অবসাদ কাটিয়ে ওঠে তরতাজা থাকা সম্ভব।
নড়াচড়া করুন
অনেকের এটা মনে হতে পারে যে, আমরা যদি শারীরিক পরিশ্রম না করি তাহলে অনেক বেশি শক্তি অনুভব করব। কারণ, শারীরিক পরিশ্রম না করলে শক্তি বাঁচবে।

সত্যিই কি তাই? তাহলে কেন আমরা সাধারণত শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের পর পূর্ণ শক্তি অনুভব করি? এর কারণ হলো শরীরের মাংসপেশি ও হৃদ-রক্তনালিতন্ত্র একটি গাড়ির ইঞ্জিনের মতো। নিয়মিত চলাচল ইঞ্জিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। একইভাবে আপনি যখন কাজ করবেন, আপনি স্বস্তি অনুভব করবেন। যেসব ব্যক্তি শারীরিকভাবে সুস্থ তারা দৈনিক সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করে এবং জিনিসপত্র বহন করে দৈনন্দিন কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যেতে পারেন।

ব্যায়াম হলো মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা দূর করার এক উত্তম উপায়। এটা শক্তি বাঁচানোরও একটি উপায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির সপ্তাহে তিন থেকে চারবার ২০ থেকে ৬০ মিনিট মধ্যম মাত্রা থেকে উচ্চমাত্রার ব্যয়াম করা উচিত। সত্যি কথা বলতে কী, আপনি যদি প্রতি দিন ৩০ মিনিট মধ্যমমাত্রার কাজকর্ম করেন তাহলে বিরাট স্বাস্থ্য সুবিধা লাভ করবেন। বর্তমানে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আপনাকে ৩০ মিনিট স্বল্পমাত্রার কাজ করতে বলছেন। যেমন- সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা, অল্পপথ দ্রুত হাঁটা, ঘরের কাজকর্ম করা, নাচা, শিশুদের সঙ্গে খেলধুলা করা ইত্যাদি।
একঘেয়েমি কাটিয়ে উঠুন
আপনি যদি শুধু গৃহবধূও হন তাহলে বিকেল বেলা একটু পায়চারি করুন কিংবা আশপাশের মার্কেট থেকে ঘুরে আসুন। এতে আপনার একঘেয়েমিভাব কেটে যাবে এবং বিকেলটাকে আর ক্লান্তিকর মনে হবে না।

নিজেকেই প্রশ্ন করুন আপনি কি পছন্দ করেন? বারো মাস ফুলের গাছ লাগানো? টেনিস খেলা? এসব কাজ কিন্তু আপনাকে ক্লান্তির বদলে শক্তি জোগায়।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবসাদ বা ক্লান্তির একটি প্রধান কারণ হলো একঘেয়েমি।

তাই আপনাকে অবশ্যই একঘেয়েমিজনিত ব্যাপারগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে। সপ্তাহে একদিন কোথাও বেড়াতে যান, আড্ডা দিন, কিছু আনন্দকর ব্যায়াম উপভোগ করুন, মজাদার কাজকর্ম করুন, দেখবেন কেটে গেছে বিরক্তিকর অবসাদ বা ক্লান্তি।

চমৎকার ঘুম দিন
আপনি যদি রাতে মাত্র তিন থেকে চার ঘণ্টা ঘুমান তাহলে ক্লান্তি ও দুর্বল বোধ করবেন। তবে এক ঘণ্টা এদিক-সেদিক হলে সেটা দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।

সত্যিকার অর্থে অনেকে দিনের পর দিন পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা ঘুমান, যদিও তাদের প্রয়োজন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম। এক-দু’রাত ঘুম কম হলে খারাপ অনুভব নাও হতে পারে, তবে মনে রাখতে হবে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। আপনি যদি ঠিকমতো না ঘুমান তাহলে কোনো কাজে মনোসংযোগ দিতে পারবেন না।

অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, পর্যাপ্ত ঘুম সচেতনতা এবং শক্তিমাত্রাকে বৃদ্ধি করে। আপনি দুপুরের পর কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে আপনার ক্লান্তি কাটিয়ে উঠতে পারেন।
ওষুধের দিকে লক্ষ রাখুন
কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ আপনাকে ক্লান্ত বা অবসাদগ্রস্ত করে তুলতে পারে। এসব ওষুধের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি হিস্টামিন, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ এবং কাশি নিরোধক ওষুধ। তবে অন্য সাধারণ ওষুধগুলোও আপনার মধ্যে দুর্বল ভাব আনতে পারে। আপয়েট সমৃদ্ধ অ্যান্টি ডায়রিয়াল ওষুধ এবং অ্যান্টি কলিনার্জিক ওষুধগুলো আপনার মধ্যে ঘুম ঘুম ভাব আনতে পারে। একইভাবে বমি নিরোধক ওষুধগুলো অনেক লোকের মধ্যে ঘুমভাব আনে। কিছু নন-স্টেরয়ডাল অ্যান্টি ইনফ্রামেটরি বা প্রদাহবিরোধী ওষুধ (যেমন আইবুপ্রফেন) ঘুম ঘুম ভাব আনতে পারে। সম্ভব হলে বিকল্প ওষুধ যেমন অ্যাসিটামিনোফেন বা অ্যাসপিরিন দিয়ে চেষ্টা করুন, এসব ওষুধ সাধারণত ঘুমঘুম ভাব সৃষ্টি করে না।
চাপমুক্ত থাকুন
বর্তমানে ক্লান্তি বা অবসাদের এক নম্বর কারণ হলো চাপ। এই চাপ শরীরে অতিরিক্ত অ্যাড্রেনালিন ও অন্যান্য হরমোনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। এতে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায় ও শরীরে শক্তির জোগান বেড়ে যায়। কিন্তু এই অতিরিক্ত শক্তি আপনাকে অবসন্ন করে তোলে।

আপনি সবসময় চাপমুক্ত থাকুন। চাপ আপনার শরীর ও মনকে চুরমার করে দেয়। সুতরাং আপনাকে যদি ক্লান্তি বা অবসাদ মুক্ত থাকতে হয় তাহলে আপনাকে চাপমুক্ত থাকার কৌশলগুলো শিখতে হবে। আর তার আগে আপনাকে জানতে হবে চাপ আপনার ওপর কী কী প্রভাব ফেলে। আপনার শারীরিক ও মানসিক অবস্থাগুলো পর্যবেক্ষণ করুন : আপনি কি ঘাড়ে টান অনুভব করেন? আপনার কি পেট খারাপ হয়? আপনার কি পিঠব্যথা হয়? অথবা আপনি কি উদ্বিগ্ন বোধ করেন? মন খারাপ হয়? রেগে যান? মাথা ঝিমঝিম করে?

যদি একবার আপনি আপনার চাপের বৈশিষ্ট্য নির্ণয় করতে পারেন, তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হয়। কিছু শিথিলায়ন পদ্ধতি যেমন গভীরভাবে শ্বাস নেওয়া ও যোগব্যায়াম আপনার শরীরকে অতিরিক্ত চাপমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। আর যদি আপনার সবসময় নেতিবাচক মনোভাব থাকে তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যান। 
সঠিকমাত্রার ক্যালরি গ্রহণ করুন
যদি আপনি ডায়েটিং করেন কিংবা খুব কম খান তাহলে আপনার ক্যালরির মাত্রা অনেক কমে যাবে। এতে আপনি ক্লান্তিবোধ করবেন। ঠিকমতো ক্যালরি গ্রহণ না করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে।

স্বাভাবিক ওজন কমানোর ক্ষেত্রে, আপনি যতটুকু ক্যালরি গ্রহণ করেন, তারচেয়ে ব্যয় করেন বেশি। সে কারণে আপনার শরীর তার সংরক্ষিত ক্যালরি ক্ষয় করে অর্থাৎ আপনার জমানো চর্বি। কিন্তু আপনি যদি ক্যালরি গ্রহণ অতিরিক্ত মাত্রায় কমিয়ে দেন, আপনার শরীরের কার্যক্রমও কমতে শুরু করবে। এই পুরো প্রক্রিয়াটি শরীরের জন্য অস্বাভাবিক এবং মারাত্মক চাপের। এ কাজের অনেক উপসর্গের মধ্যে একটি হলো ক্লান্তি বা অবসাদ।

সুতরাং অবসাদ এড়াতে ডায়েট করবেন না। দৈনিক ১৫৫০-এর নিচে ক্যালরি গ্রহণ করবেন না। বরং ব্যায়াম করলে শরীরের প্রয়োজনে আরো ১০০০ বেশি ক্যালরি গ্রহণ করুন।

ডায়েট আপনাকে বৈচিত্র্যপূর্ণ খাবার থেকে বঞ্চিত করে। এটা আপনার জন্য ক্ষতিকর। কারণ আপনি ঠিকমতো ক্যালরি গ্রহণ করতে পারেন না। আর এ কারণে আপনি হয়ে পড়েন পুষ্টিহীন।

সুতরাং শক্তি না কমিয়ে ওজন কমাতে নিচের নিয়ম মেনে চলুন।
চর্বি কমান 
ফ্যাট ক্যালরি প্রোটিন কিংবা কার্বোহাইড্রেট ক্যালরির চেয়ে খুব সহজেই বডিফ্যাটে রূপান্তরিত হয়। এ ছাড়া ফ্যাটে প্রোটিন বা কার্বোহাইড্রেটের চেয়ে বেশি ক্যালরি থাকে। তাই ফ্যাটি ফুড বা চর্বিসমৃদ্ধ খাবারের বদলে উচ্চমাত্রার কার্বোহাইড্রেট খাবার যেমন ফলমূল, শাকসবজি ও খাদ্যশস্য খান। এতে আপনার ক্যালরি হঠাৎ খুব কমে না গিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করবে। আপনি খাদ্য থেকে চর্বি কমান, ক্যালরি নয়।
ধীরে ধীরে ওজন কমান
হঠাৎ করে ওজন কমাবেন না। ধীরে ধীরে কমান। সপ্তাহে আধা কেজি। এর বেশি কমালে তা আপনার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। হঠাৎ ওজন কমে গেলে আপনার ক্লান্তি বা অবসাদ ও পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, আপনার হার্টের সমস্যাও হতে পারে।
লেখক : আবাসিক সার্জন, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
খুব গরমের সময় আমরা ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে পছন্দ করি। আবার শীতের সময় হালকা গরম পানি দিয়ে। তো কোনটি ভালো?  অনেকে বলেন, ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা ভালো; গরম পানি দিয়ে গোসল স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। তবে সত্যটি হচ্ছে গরম বা ঠান্ডা পানি দুটো গোসলেরই কিছু উপকার রয়েছে। 

জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে জানানো হয়েছে দুই ধরনের পানি দিয়ে গোসল করার দুই ধরনের উপকারের কথা।  
গরম পানির গোসলের উপকার
১. গোসলের পর শিথিল বোধ করতে চাইলে গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফেরার পর গরম পানির গোসল ক্লান্তিভাব কাটাবে। 

২. গরম পানির গোসল অবসন্ন ও ক্লান্তিভাব কাটায়, বিশেষ করে বিকেল বেলায়। 

৩. মাথাব্যথা থাকলে গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। এটি সাময়িকভাবে মাথাব্যথা কমাবে। 

৪. ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ফোলা লাগছে? মুখ ফোলা ভাব কমাতে গরম পানির গোসল করতে পারেন।

৫. কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই উদ্বিগ্ন লাগলে গরম পানি দিয়ে গোসল করে নিন। এতে শরীর শিথিল থাকবে। 

৬. গরম পানির গোসল নাকের সর্দি কমায়।

৭. গরম পানির গোসল শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে।

৮. গরম পানির গোসল ত্বকের রোমকূপগুলো খুলে দেয়। এতে শরীর ভালোভাবে পরিষ্কার হয়।
ঠান্ডা পানির গোসলের উপকারিতা
১. ঠান্ডা পানির গোসল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। এ জন্য অনেকেই ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসলকে ভালো মনে করেন।

২. ঠান্ডা পানির গোসল অ্যান্টি ডিপ্রেশন হরমোন বের করে। এতে ভালো অনুভূতি হয়।

৩. বিপাক ভালো রাখতে কাজ করে। 

৪. ঠান্ডা পানির গোসল আপনাকে সতেজ করবে, বিশেষ করে সকালে। 

৫. ঠান্ডা পানির গোসল চুল পরা প্রতিরোধ করে এবং ত্বক ভালো রাখে।
মানুষ সৌন্দর্য্যের পূজারি। সুন্দর যেকোন কিছুই সবাইকেই আকর্ষন করেআর এই সুন্দর বিষয়টি নারীদের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশী মানিয়ে যায়। নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপনের জন্য নারীরা বিভিন্ন রকম প্রসাধনী  সাজসজ্জার আশ্রয় নেয়। কিছু টিপস জানা থাকলে এই সাজসজ্জার বিষয়টি হয়ে যায় চটুজলদি এবং ঝামেলাহীন
দেরি না করে এখনি জেনে নিন ১৯টি কার্যকরী বিউটি টিপসঃ
১। টমেটোর রস  দুধ একসঙ্গ মিশিয়ে মুখে লাগালে রোদে জ্বলা ভাব কমে যাবে
২। ঠোটেঁ কালো ছোপ পড়লে কাঁচা দুধে তুলো ভিজিয়ে ঠোটেঁ মুছবেন। এটি নিয়মিত করলে ঠোটেঁর কালো দাগ উঠে যাবে
৩। কনুইতে কালো ছোপ দূর করতে লেবুর খোসায় চিনি দিয়ে ভালো করে ঘষে নিন। এতে দাগ চলে গিয়ে কনুই নরম হবে
৪। হাঁড়ি বাসন ধোয়ার পরে হাত খুব রুক্ষ হয়ে যায়। এজন্য বাসন মাজার পরে দুধে কয়েক ফোঁটা লেবু মিশিয়ে হাতে লাগান। এতে আপনার হাত মোলায়েম হবে
 লিগমেন্টেশন বা কালো দাগ থেকে মু্ক্তি পেতে আলুলেবু  শসার রস এক সঙ্গে মিশিয়ে তাতে আধ চা চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে যেখানে দাগ পড়েছে সেখানকার ত্বকে লাগান
৬। মুখের ব্রণ আপনার সুন্দর্য নষ্ট করে। এক্ষেত্রে রসুনের কোয়া ঘষে নিন ব্রণের উপর। ব্রণ তাড়াতাড়ি মিলিয়ে যাবে
৭। তৈলাক্ত ত্বকে ঘাম জমে মুখ কালো দেখায়। এক্ষেত্রে ওটমিল  লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখবেন আধা ঘণ্টা। আধা ঘণ্টা পর ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন
৮। চুল পড়া বন্ধ করতে মাথায় আমলাশিকাকাই যুক্ত তেল লাগান
৯। পায়ের গোড়ালি ফাটলে পেঁয়াজ বেটে প্রলেপ দিন  জায়গায়
১০। যাদের হাত খুব ঘামে তারা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে লাউয়ের খোসা হাতে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ
১১। মুখে কোন ্যাশ বের হলে অড়হর ডাল বাটা পেস্ট লাগান ্যাশের উপর। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। দাগ থাকবে না
১২। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন ১৫ গ্রাম করে মৌরি চিবিয়ে খান। খুব কম সময়ে রক্ত শুদ্ধ হয়ে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে
১৩। মুখের তাৎক্ষণিক লাবণ্য আনতে একটা ভেষজ রুপটান আছে। আধা চা চামুচ লেবুর রসএক চা চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে  গলায় লাগান। পনের মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা আপনার মুখকে ভেজা রাখবে
১৪। পিঠের কালো ছোপ তুলতে ময়দা  দুধ এক সঙ্গে মিশিয়ে পিঠে দশ মিনিট ধরে ঘষবেন। এটা নিয়মিত করলে পিঠের ছোপ উঠে যায়
১৫। অতিরক্ত শুষ্কতা থেকে মুক্তি পেতে মধুদুধ  বেসনের পেস্ট মুখে লাগান নিয়মিত। এতে ত্বকের বলিরেখা  দূর হয়ে যাবে
১৬। মুখের বাদামি দাগ উঠাতে পাকা পেঁপে চটকে মুখে লাগানপরে ধুয়ে ফেলুন
১৭। হাত পায়ের সৌন্দয্য অক্ষুণ্ন রাখতে হাতে  পায়ে আপেলের খোসা ঘষে নিন। এতে হাত  পা অনেক বেশি ফর্সা দেখাবে
১৮। সমপরিমাণ তুলসী পাতার রস  লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে দুই বেলা নিয়মিত মুখে লাগান যেকোন দাগ মিলিয়ে যাবে
১৯। নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত দুই কোয়া করে কমলালেবু খান। দুই মাস পর  সমস্য থাকবে না

তথ্যসূত্রইন্টারনেট
Powered by Blogger.

Contact us

Name

Email *

Message *

Followers

Featured Posts

Social Icons

Pages

Facebook

Video

সর্বাধিক পঠিত

Our Facebook Page

Text Widget