ছেলেদের ত্বক হয় অনেক বেশি রুক্ষ; বিশেষ করে গোসলের পর ত্বক হয় খসখসে। এই শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি পেতে হলে সঠিকভাবে এর যত্ন নেওয়া চাই। কারণ, ত্বকের যত্ন ঠিকভাবে না নিলে চোখের নিচে কালো দাগ পড়তে পারে এবং চামড়া শুষ্ক হয়ে যায়। এ বিষয়ে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের অধ্যাপক আফজালুল করিম বলেন, বাজারে ছেলেদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ও লোশন রয়েছে। কিন্তু যাচাইবাছাই করে ভালো মানের ক্রিম ব্যবহার করা উচিত। কারণ, প্রসাধনী ভালো মানের না হলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। ছেলেদের ত্বকের যত্নে তাঁর পরামর্শ হলো—
খুব বেশি গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না। অল্প সময় নিয়ে কুসুম গরম পানিতে গোসল করতে হবে।
ক্রিম, লোশন, সাবান—সব ধরনের প্রসাধনীই বাড়তি ময়েশ্চারাইজারযুক্ত হতে হবে।
শেভ করার পর ক্রিম লাগানো উচিত। তাহলে ত্বকে ফাটল ধরবে না।
যাঁদের রোদে বেশি থাকা হয়, তাঁরা সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।
গোসলের পর লোশন লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। সেটি যেন ত্বকে ভালোভাবে মিশে যায়। তারপর বাইরে বেরোতে হবে।
তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ বেশি ওঠে। এ ছাড়া ধুলাবালুর কারণে ছেলেদের ত্বক পরিষ্কার করতে হয় বারবার। এ প্রসঙ্গে পারসোনা অ্যাডামসের শাখা ব্যবস্থাপক মো. মাসুম বিল্লাহ খান বলেন, ছেলেদের অয়েল কন্ট্রোল ফেসওয়াশ (ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণে রাখে এমন) ব্যবহার করা উচিত। তাহলে ত্বক ভালো থাকবে। তিনি আরও বলেন, বাজারে ছেলেদের জন্য নানা ব্র্যান্ডের যেসব ক্রিম পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহার করার আগে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। তা নাহলে ক্রিম কাজ করবে না। এ ছাড়া রাতে ঘুমানোর আগে ম্যাসাজ ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে ত্বক ঠান্ডা থাকে এবং ব্রণ ওঠে না। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। যদি রোদে বেশি থাকা হয়, তাহলে সানস্ক্রিন লাগিয়ে ঘর থেকে বের হওয়াই ভালো। অবসর পেলে ভেষজ কোনো প্যাক লাগানো যেতে পারে। যাঁরা প্যাক লাগাতে চান না, তাঁরা কমলালেবু কিংবা পাকা টমেটো মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। এতে ত্বক পরিষ্কার হবে। ত্বকের যত্নের জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এ ছাড়া যতটা সম্ভব কম রাত জাগা উচিত; সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে প্রতিবেলাতেই শাকসবজি রাখতে হবে। ফল খেতে হবে এবং শুকনো খাবার যতটা সম্ভব কম খেতে হবে। ত্বকের যত্নের জন্য মাসে দুবার ফেসিয়াল করা যেতে পারে।
0 comments:
Post a Comment