Tuesday, February 21, 2017

১. গভীর শ্বাস নিন
একমাত্র অক্সিজেন অ্যামিগডালাকে সংকেত পাঠায় যে ভীতিকর অ্যালার্ম না বাজালেও চলবে। এক মিনিটের ধীর ও গভীর শ্বাসের মাধ্যমে প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স মুক্তি পায় অ্যামিগডালার নিয়ন্ত্রণ থেকে।
ভীতি তাড়াতে যেকোনো স্থানে যেকোনো সময় এভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজটি করে ফেলতে পারেন।
২. ক্ষুব্ধ হয়ে উঠুন
আপনি হয়তো জানেন না যে ভয়ের চেয়ে অনেক বেশি উৎপাদনশীল ক্ষোভ। তবে ধীরস্থির শান্তিময় দেহ-মনের জন্য রাগ মোটেও বন্ধুসুলভ নয়। কিন্তু ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে মনের সব ভয় গায়েব হয়ে যাবে। ভয় মনে অসহায় ভাব আনে। কিন্তু ক্ষোভ মানুষকে করে তোলে শক্তিশালী।
৩. ক্রিয়াশীল হোন
ভয়কে জমিয়ে রাখবেন না। সঙ্গে সঙ্গে ক্রিয়াশীল হয়ে উঠুন। হয় যুদ্ধ কিংবা জড় পদার্থ হয়ে যান। যেকোনো কাজেই ঝাঁপ দিতে পারেন। অসহায়কে সহায়তা করুন, কাউকে ফোন দিন এবং মতামত প্রকাশ করুন। এতে ভয় থেকে মন সরে যাবে।
৪. চোখ সরান
ভয় তখনই আপনাকে বশ করে ফেলতে পারে, যখন সামনে যা রয়েছে তার প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখবেন। তাই ভীতি সঞ্চার ঠেকাতে বড় চিত্রটি দেখুন। এটা আপনার চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে। এতে ভয়ের আগ্রাসন থেকে যাবে।
৫. আশা বাঁধুন
আশাবাদ দেহে কর্টিসল নামের হরমোনের ক্ষরণ ঘটায়। এটি মস্তিষ্কের অ্যামিগডালাকে শান্ত করে তোলে। যেকোনো বিষয়ে আশাবাদী হয়ে ওঠার মাধ্যমে খুব দ্রুত ভয়ের চাদর সরিয়ে ফেলুন।
৬. তৃপ্তির উৎপাদন
এমনকি ভীতিকর অবস্থার মধ্যেও তৃপ্তিকর অনুভূতি আপনাকে ভিন্ন পথের সন্ধান দিতে পারে। মস্তিষ্কে একই সঙ্গে ভয় এবং তৃপ্তিকর অনুভূতি কাজ করে না। আজ আপনি কোন বিষয়টি নিয়ে তৃপ্তি পাচ্ছেন? তার কথাই ভাবুন। ভয় নিমেষেই দূর হয়ে যাবে।
৭. আনন্দ খুঁজে নিন
অনেক সময়ই আনন্দময় অনুভূতি ও চিন্তা ভয় সঞ্চারণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আনন্দ ও সুখ একই প্রকারের হয়ে থাকে। তাই সুখকর চিন্তায় ব্যস্ত হয়ে পড়ুন। যখন ভয়ে সেঁধিয়ে যাচ্ছেন, তখন ওই স্থান থেকে সুখ খুঁজতে হবে না। সুখ রয়েছে আপনার নিজের মধ্যে। এটাকেই বের করে আনুন।

0 comments:

Post a Comment

Powered by Blogger.

Contact us

Name

Email *

Message *

Followers

Featured Posts

Social Icons

Pages

Facebook

Video

সর্বাধিক পঠিত

Our Facebook Page

Text Widget