Friday, May 5, 2017

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস অনেকের- যা একেবারেই অনুচিত। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দৈনিক ২৩০০ মিলিগ্রামের বেশি লবণ প্রয়োজন নেই। এর বেশি লবণ খেলেই শুরু হয়ে যায় নানা স্বাস্থ্যগত সমস্যা। বাড়তি লবণ খেলে স্ট্রোক থেকে শুরু করে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা শুরু হতে পারে।

চলুন জেনে নেয়া যাক অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কুফল সম্পর্কে-   

# পাকস্থলী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কাঁচা লবণ অধিক পরিমাণে খেলে।
# অতিরিক্ত লবণ খেলে কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
# অতিরিক্ত লবণ খেলে রক্তের সোডিয়াম বেড়ে যায়। ফলে উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা দেখা দেয়।
বেশি লবণ খাওয়ার কারণে রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে গেলে কমতে থাকে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ। এতে হাড় ক্ষয় হতে থাকে। 
# প্রয়োজনের অতিরিক্ত লবণ খেলে শরীরের তরল পদার্থ বিলীন হতে থাকে। এতে হাত ও পায়ে পানি চলে আসে।
# হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় কাঁচা লবণ।
পানিশূন্যতা, ঘনঘন পানির পিপাসা লাগা, বমি ভাব এমনকি ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে শরীরে লবণের আধিক্য দেখা দিলে।
প্রতিদিনের কাজের চাপে মাথা ব্যাথা, পিঠব্যাথা বা পা-ব্যাথা হতেই পারে। আর এ থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে অনেকেই ওষুধ খেয়ে থাকে। যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই ব্যাথা কমানোর জন্য প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া কিছু প্রতিষেধক ব্যবহার করা যেতে পারে।
 
ব্যাথা একটি বিরক্তিকর রোগ। বিভিন্ন কারণে মানুষের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাথা হতে পারে। যেমন অতিরিক্ত ঠাণ্ডা থেকে, বিছানায় ভুল ভাবে ঘুমানোর জন্য, এবং হঠাৎ কোনো শারীরিক পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে, এ ধরণের ব্যাথা হয়ে থাকে। তাই ওষুধের বদলে প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া কিছু প্রতিষেধক খেয়েও শরীরের ব্যাথা উপশম করা যায়।

চলুন জেনে নেই এমন কিছু খাবারের নাম ও বৈশিষ্ট্য যা শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা হতে মুক্তি দিতে পারে।

কফি: ক্যাফেইন ব্যাথা নিরাময়ে বেশ কার্যকর। বিশেষ করে পেশি ও মাথা-ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে কফি বেশ উপযোগী। প্রতিদিন দুই কাপ কফি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

আদা: অ্যান্টিইনফ্লামাটরি উপাদান সমৃদ্ধ আদা বাতের ব্যাথা, পেট ও বুকের ব্যাথা এমনকি মাংসপেশির প্রদাহের কারণে হওয়া ব্যাথা উপশমে সহায়ক। আদা ছেঁচে একটি পরিষ্কার কাপড়ে পেঁচিয়ে ব্যাথার স্থানে চেপে ধরে রাখলে আরাম পাওয়া যাবে।

হলুদ: ‘স্পাইস কারকউমিন’ নামক একটি উপাদানের কারণে হলুদ রং হয়ে থাকে এই মসলায়। আর এতে আছে প্রচুর অ্যান্টিইনফ্লামাটরি উপাদান যা অনেক ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের মতো কাজ করে থাকে। তাই মাংসপেশি এবং শরীরের বিভিন্ন সংযোগ স্থলে ব্যাথা উপশমে হলুদ বেশ উপকারী। দুধের সঙ্গে মিশিয়ে বা চায়ের সঙ্গে হলুদ সেবন করলে উপকার পাওয়া যাবে।

লবণ: গোসলের সময় কুসুম গরম পানিতে ১০ থেকে ১৫ টেবিল-চামচ লবণ মিশিয়ে ১৫ মিনিট এ পানিতে শরীর ভিজিয়ে রাখুন। এই লবণ পানি শরীরের পেশি এবং কোষ শিথীল করে এবং ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে।

টক দই: পেট ফাঁপা, জ্বলুনি এবং ব্যাথা কমাতে দই বেশ উপযোগী। দইয়ের ব্যাক্টেরিয়া হজমে সহায়তা করে ফলে পেটের ব্যাথা বা জ্বলুনি কমিয়ে আরাম দেয়। প্রতিদিন এক বাটি টক দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

লাল আঙুর: রেসভেরাট্রল নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতির কারণে এই আঙুরের রং এমন লালচে হয়ে থাকে। আর এই উপাদান পিঠ ব্যাথাসহ বিভিন্ন ব্যাথা উপশমে সহায়তা করে। এক মুঠো পরিমাণ লাল আঙুর খেলে ব্যাথা কিছুটা কমে আসবে।

মরিচ: মরিচে রয়েছে ক্যাপসাইসিন নামক একটি উপাদান যা বিভিন্ন ধরনের ব্যাথানাশক ক্রিমে পাওয়া যায়। এই উপাদান স্নায়ুকে আরাম দেয় এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে মরিচ খাওয়ার অভ্যাস করা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
ছোটবেলায় দড়ির লাফ খেলেননি, এমন মানুষ খুব কম। বিদ্যালয়গুলোতেও তখন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ভেতর দড়ির লাফ ছিল অন্যতম। এই মজার খেলাটিই কিন্তু আপনার শরীরের জন্য খুব উপকারী একটি ব্যায়াম। স্বাস্থ্য ফিট রাখতে, ওজন কমাতে, শরীরের ঘাম ঝরাতে দড়ি লাফের বিকল্প খুব কম। 

চলুন জেনে নেই দড়ির লাফের কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-
১। এই এক্সারসাইজ করতে আপনাকে একেবারে পারদর্শী হতে হবে তা নয়। বিগিনার থেকে অ্যাডভান্স সবাই এটি করতে পারবে। নিয়মিত এই এক্সারসাইজ হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে।
২। বেশিরভাগ সময় বাইরে দৌড়াতে যেতে হবে চিন্তা করে আলসেমি ঘিরে ধরে। তবে হাতের কাছে দড়ি থাকলে আর ঘরের বাইরে যেতে হবে না। ঘরেই করতে পারবেন। তাই খারাপ আবহাওয়া আপনার ফিটনেস রুটিনে আর বাধা নয়।
৩। দেহের চর্বি ঝরাতে এর জুড়ি নেই। দৌড়ানোর চেয়ে স্কিপিং বেশি ক্যালোরি বার্ন করতে সক্ষম। এক ঘন্টা স্কিপিং-এ ১৩০০ ক্যালোরি খরচ হয়।
৪। দড়ি লাফ ব্যায়ামের সবচেয়ে সস্তা উপায়। একটি রোপ হলেই হল। এটি আপনার মাংসপেশিকে টোন করতে সাহায্য করবে।
৫। এটি আপনার হাত পা একসাথে চালানো ব্যাল্যান্স করবে সাথে শরীরের অন্য অঙ্গ প্রতঙ্গ। তাই সব অ্যাথলেটরাই স্কিপ্পিং চর্চা করেন। শরীরের সামঞ্জস্য রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়াম।
৬। গবেষণায় দেখা গেছে যে, স্কিপিং আপনার জয়েন্টে কম চাপ তৈরি করে দৌড়ানোর চেয়ে। তাই দৌড়ানোর চেয়ে স্কিপিং ভালো ব্যায়াম হিসেবে পরিচিত। যেহেতু স্কিপিং এর ফলে হার্ট বিট ফার্স্ট হয় তাই এটি আপনাকে আলাদা করে কার্ডিও ভাস্কুলার এক্সারসাইজ করতে হবে না।
৭। দড়ি লাফের কারণে আপনার ফুল বডি ওয়ার্ক আউট হবে। এটা থাই টান টান করতে খুব কার্যকর। এমন কি হাত ও হিপের মাংসপেশি টান টান করে।
তেল, ঝাল, মশলা সব খাচ্ছেন। হাত ধুচ্ছেন, মুখ ধুচ্ছেন। কিন্তু রোজ কিডনি পরিষ্কার করছেন কি? দূষিত পদার্থ জমে জমে বারোটা বাজছে কিডনির। হাতের কাছেই আছে সমাধান। কীভাবে পরিষ্কার করবেন কিডনি? দেখুন, কিডনি পরিষ্কারের ঘরোয়া টোটকা।
বছরের পর বছর, দিনের পর দিন কিডনি ঠিক এভাবেই ছাঁকনির কাজ করে চলে। লবন, বিষ এবং অবাঞ্ছিত পদার্থ শরীরে ঢুকতে বাধা দেয়। কিন্তু কিডনি অকেজো হয়ে গেলে শরীরের ক্ষতিকর বর্জ্য রক্তে জমা হয়। তখন বেঁচে থাকাই মুশকিল।
মারাত্মক ডায়েরিয়া বা শরীরে পানির অভাবে কিডনির দফারফা হতে পারে। টাইফয়েড বা ডেঙ্গুজ্বর, অকারণ অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথা কমানোর ওষুধের সাইড এফেক্ট থেকে কিডনির সমস্যা হতে পারে।
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনির নিজস্ব কিছু রোগের কারণে কিডনির ক্রনিক সমস্যা তৈরি হয়। শেষ ধাপ এন্ড স্টেজ রেনাল ডিজিজ।তখন প্রয়োজন ডায়ালিসিস অথবা কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট। ফাস্ট লাইফস্টাইল, চূড়ান্ত ব্যস্ততার জীবনে কিডনির সমস্যায় ভোগেন না, এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম। তাহলে কিডনি ভাল রাখার উপায় কী? হাতের কাছেই রয়েছে চটজলদি সমাধান।
পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিতে হবে একআঁটি ধনেপাতা। কুচি কুচি করে কেটে পাত্রে রাখতে হবে ধনেপাতা। পাত্রে কিছুটা পরিষ্কার জল নিয়ে ১০ মিনিট ফোটাতে হবে। ঠাণ্ডা হলে ছেঁকে পরিষ্কার বোতলে রাখতে হবে। ফ্রিজে রেখে দেওয়া যেতে পারে ওই বোতল। প্রতিদিন একগ্লাস করে ধনেপাতার জুস খেলেই হাতেনাতে মিলবে ফল। কিডনির মধ্যে জমে থাকা লবন এবং বিষাক্ত পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যাবে।
শুধু কিডনিই নয়। ধনেপাতা মহৌষধ। একআঁটি ধনেপাতায় রয়েছে ১১% ফাইবার, ৪% প্রোটিন, ১% ক্যালরি, ১% কার্বোহাইড্রেট, ১% ফ্যাট। ম্যাঙ্গানিজ ২১%, পটাসিয়াম ১৫%, কপার ১১%, আয়রন ১০%, ক্যালসিয়াম ৭%। এতে রয়েছে ৩৮৮% ভিটামিন k, ১৩৫% ভিটামিন A, ৪৫% ভিটামিন C, ১৬% ফলেট।
ধনেপাতায় হাজার গুণ। এগজিমা সারায়, বমিভাব কমায়, পেটের গণ্ডগোল কমায়, আলসার সারায়, সতেজ হয় শ্বাস-প্রশ্বাস, হজমে সাহায্য করে, ব্লাড প্রেশার কমায়, অ্যানিমিয়া কমায়, ডায়াবেটিসে প্রচুর উপকার মেলে। হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। কনজাংটিভাইটিস থেকে চোখকে রক্ষা করে ধনেপাতা। স্মল পক্স প্রতিরোধ করে ধনেপাতা।

Saturday, April 8, 2017

দাঁতের ব্যাথাকে আমরা অনেকে আমল দেই না। প্রয়োজনমতো দাঁতের যত্ন নেই না, ডেন্টিস্টের কাছে যাই না নিয়মিত। এর পর যখন দাঁতের ব্যথায় প্রাণ ওষ্ঠাগত হয় তখনই কেবল ডেন্টিস্টের কাছে দৌড়াই। কিন্তু দাঁত ব্যথার রয়েছে বড়ই বাজে একটা অভ্যাস। রাতের বেলায় যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে, ডেন্টিস্ট যখন চেম্বার বন্ধ করে বাড়ি চলে গেছে তখনই দাঁত ব্যথা চরম আকৃতি ধারণ করে। তখন সকাল পর্যন্ত ব্যথা সহ্য করা ছাড়া উপায় থাকে না। আর এই শীতে তো দাঁতের ব্যথা বেড়েও যায় অনেক গুণে। অনেকে পেইনকিলার খেয়ে বসে থাকেন, যদিও পেইনকিলার শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। জানেন কি, আপনার রান্নাঘরে পড়ে থাকা কিছু উপাদান দিয়ে আপনি তৈরি করে নিতে পারেন একদম প্রাকৃতিক এবং কার্যকরী কিছু পেইনকিলার। দাঁতে ব্যথা হলে ডেন্টিস্ট দেখাতে হবে অবশ্যই, কিন্তু তার আগ পর্যন্ত ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই ঘরোয়া ওষুধগুলো কাজ করে জাদুর মতো!
১) লবণ পানি
– একেবারে সাধারণ এবং প্রচলিত এই প্রক্রিয়া আসলেই কার্যকর। এক গ্লাস গরম পানিতে বেশি করে লবণ গুলে কুলকুচি করুন যতক্ষণ সম্ভব। দাঁতের ব্যথার কারন হিসেবে যদি কোনও জীবাণু থেকে থাকে তবে তা দূর হবে। এছাড়াও মাড়িতে রক্ত চলাচল ভালো করে দেয় এবং সাময়িকভাবে দাঁত ব্যাথা কমে আসে। তবে এই লবণ পানি খেয়ে ফেলবেন না যেন। কুলকুচি করে ফেলে দেবেন।
২) লবঙ্গ
– যে দাঁতটা ব্যথা করছে, তার ওপরে বা পাশে (যেখানে ব্যাথা) একটা লবঙ্গ রেখে দিন। মাড়ি আর দাঁতের মাঝে বা দুই চোয়ালের মাঝে এই লবঙ্গ চেপে রাখতে পারেন যতক্ষণ না ব্যথা চলে যায়। লবঙ্গের তেল ব্যবহার করতে পারেন তবে দুই-এক ফোঁটার বেশি নয়। লবঙ্গ গুঁড়োর সাথে পানি বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করেও লাগাতে পারেন।
৩) আদা
– এক টুকরো আদা কেটে নিন এবং যে দাঁতে ব্যথা করছে সে দাঁত দিয়ে চিবাতে থাকুন। যদি চিবাতে বেশি ব্যথা লাগে তাহলে অন্য পাশের দাঁত দিয়ে চিবিয়ে যে রস এবং আদার পেস্ট তৈরি হবে সেটা ওই আক্রান্ত দাঁতের কাছে নিয়ে যান। জিহ্বা দিয়ে একটু চেপে রাখুন দাঁতের কাছে। কিছুক্ষণের মাঝেই ব্যথা চলে যাবে।
৪) রসুন
– এক কোয়া রসুন থেঁতো করে নিয়ে দাঁতের ওপর লাগিয়ে রাখুন। রসুনের সাথে একটু লবণও মিশিয়ে লাগাতে পারেন।
৫) পেঁয়াজ
– টাটকা এবং রসালো এক টুকরো পেঁয়াজ কেটে নিয়ে সেটা আক্রান্ত দাঁতের ওপর চেপে রাখুন। পেয়াজের রসটা উপকারে আসবে।
৬) মরিচ
– হ্যাঁ মরিচ। শুকনো মরিচের গুঁড়ো দিয়ে পেস্ট তৈরি করে দাঁতের ওপরে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে মরিচের ভেতরে থাকা উপাদান আপনার দাঁতের ওই ব্যাথাকে অবশ করে দেবে। গোলমরিচের গুঁড়োও ব্যবহার করতে পারেন।
৭) বেকিং সোডা
– একটা কটন বাড একটু পানিতে ভিজিয়ে নিন। এর মাথায় অনেকটা বেকিং সোডা লাগিয়ে নিয়ে আক্রান্ত দাঁতের ওপরে প্রয়োগ করুন। আরেক ভাবেও বেকিং সোডা ব্যবহার করা যায়। এক চামচ বেকিং সোডা এক গ্লাস গরম পানিতে গুলিয়ে সেটা দিয়ে কুলকুচি করে ফেলুন।
মনে রাখবেনঃ-
আপনার দাঁত ব্যথা করছে তার মানে নিশ্চয়ই দাঁতের ভেতরে কোনো সমস্যা আছে এবং অবশ্যই ডেন্টিস্টের সাহায্য ছাড়া সে সমস্যার থেকে মুক্ত হওয়া যাবে না। ঘরোয়া এই প্রতিকারগুলো আপনাকে কিছুটা সময়ের জন্য ব্যথা থেকে মুক্তি দিচ্ছে বলেই ডাক্তার দেখানোর কথাটা ভুলে যাবেন না যেন। বিশেষ করে যদি মাড়ি ফুলে যায় তবে বুঝতে হবে ইনফেকশন হয়ে গেছে এবং অতি সত্তর ডেন্টিস্টের সাথে দেখা করুন।
সব মানুষই চায় সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন।এর জন্য যে কাজ গুলো করতে হয় তা করতে গিয়ে অনেকেই হোঁচট খান। মানুষ ভবিষ্যতের লাভের জন্য বর্তমানের আনন্দকে ত্যাগ করাটা খুব কঠিন মনে করে। বর্তমান শতাব্দীতে উন্নত ঔষধ, উন্নত স্যানিটেশন, নিরাপত্তা, কাজের পরিবেশ ও ব্যাক্তি সতর্কতার ফলে বিশ্বের প্রথম সাড়ির দেশ গুলুতে গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে একজন পুরুষের গড় আয়ু ৬৮.৫ বছর এবং একজন মহিলার গড় আয়ু ৭৩.৫বছর। শুধুমাত্র দীর্ঘ জীবন নয় সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন পাওয়ার জন্য কতগুলো পন্থা অবলম্বন করা প্রয়োজন।

আসুন জেনে নেই সেই পন্থা গুলো ও এগুলো অনুসরণের মাধ্যমে সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন লাভ করি:

১। প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ বন্ধ করুন
প্রক্রিয়াজাত খাবারে অনেক বেশি চিনি, লবণ ও ফ্যাট থাকে এবং এইসব খাবারে ফাইবার/ আঁশ কম থাকে। প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে হার্ট অ্যাটাক, হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।তাই আপনার খাদ্য তালিকা থেকে প্রসেসড ফুড বাদ দিয়ে শাকসবজি, ফলমূল ও আঁশ জাতীয় খাবার খান,ধূমপানের অভ্যাস থাকলে বাদ দিন এবং প্রচুর পানি পান করুন।
২। নেতিবাচক চিন্তা বাদ দিন
নেতিবাচকতা আপনার ভেতরের শক্তিকে নষ্ট করে দেয় এবং আপনার স্ট্রেস লেভেল বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে রাগ, হতাশা, বিষণ্ণতা ও উদ্বিগ্নতা বৃদ্ধি পায় এবং অধিক খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। তাই নেতিবাচকতা পরিহার করে ইতিবাচক হোন। আপনার জীবনের লক্ষ্য ঠিক করুন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করুন এতে আপনার স্ট্রেস কমবে ফলে আপনি দীর্ঘজীবী হবেন।
৩। একভাবে বসে থাকবেন না
বর্তমানের একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, ব্যায়ামের মাধমে দীর্ঘমেয়াদি অসুখ যেমন- ক্যান্সার ও স্থূলতা র সম্ভাবনা কমায়। দিনে ৩০ মিনিটের ব্যায়াম আপনার আয়ু বাড়িয়ে দেবে। ২০১১ সালে The Lancet e প্রকাশিত গবেষণা পত্রে দেখা গেছে যে, দিনে ১৫ মিনিটের ব্যায়াম যারা করেছেন তাদের আয়ু ৩ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে এবং যারা দিনে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করেছেন তাদের আয়ু ৪ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে। তাইওয়ানের ৪১৬০০০ নারী ও পুরুষ কে নিয়ে এই গবেষণাটি করা হয়। তাই দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা লাভের জন্য সারাদিনের কিছুটা সময় বেছে নিন ব্যায়ামের জন্য।
৪। রাতের ঘুম ছাড় দেবেন না
ঘুমের ব্যাপারে কার্পণ্য করবেন না। স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এর জন্য প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন । ২০০৭ সালে ঘুম বিষয়ক একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা পত্র থেকে জানা যায় যে , ঘুমের হ্রাস বৃদ্ধি মানুষের মৃত্যু হারের উপর প্রভাব বিস্তার করে। নিয়মিত কম ঘুমালে হৃদরোগ,ডায়াবেটিস ও স্থূলতার মতো মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। আর নিয়মিত ভালো ঘুম হলে স্ট্রেস, ডিপ্রেশন ও হার্ট ডিজিজ দ্রুত ভালো হয়।
বড় কোন পরিবর্তন নয় ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে নিজের জীবনযাপনের ধরণের পরিবর্তন করুন। আপনার বাবা বা দাদা অনেকদিন বেঁচে ছিলেন বলে আপনিও অনেকদিন বেঁচে থাকবেন তাই সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন লাভের জন্য আপনাকে কোন চেষ্টা করতে হবেনা এমনটা ভাববেন না। আবার আপনার পূর্ব পুরুষ রা দীর্ঘায়ু লাভ করেন নি বলে আপনি ও দীর্ঘজীবী হতে পারবেন না এই ধরণের ধারণা বা ভয় ও লালন করা ঠিক না। ইতিবাচক ভাবে চিন্তা করুন এবং জীবনে সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু লাভ করে জীবনকে পরিপূর্ণ ভাবে উপভোগ করুন।
শারীরিক ও মানসিক ভাবে ভালো থাকার জন্য ইয়োগা করা ভালো। ইয়োগা টিচার লরেন জেকব তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে বলেন যে-ইয়োগা সম্পর্কে বাস্তবিক ধারনা না নিয়েই যারা ইয়োগা শুরু করেন, তাদের অনেককেই তিনি বলতে শুনেছেন যে –“ইয়োগা আমার জন্য না”। যে কাজে আমরা আমাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করি সে কাজে অস্বস্তি বোধ করলে সেই কাজটি আমাদের পছন্দ হবেনা এবং সবসময় দ্রত ফল আশা করাটাই আমাদের স্বভাব। কিন্তু অন্যান্য কাজের মতো ইয়োগার ফল এতো তাড়াতাড়ি পাওয়া যায় না। তাই ইয়োগা শুরু করার আগে কিছু বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন। আর তা হল-
১। যে কোন মানুষ ইয়োগা করতে পারেন
ইয়োগা সূত্র অনুযায়ী ইয়োগা করার জন্য একমাত্র যোগ্যতা হচ্ছে, মনোযোগী হওয়া বা আপনার কাজের প্রতি ফোকাস করতে পারা। মনকে শান্ত করুন এবং যে কাজ করছেন তার প্রতি পূর্ণরূপে মন নিবদ্ধ করুন। তাহলেই আপনি একজন যোগী হতে পারবেন।
২। আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে
জীবনের মত ইয়োগাকেও দীর্ঘ একটি ভ্রমণ হিসেবে চিন্তা করতে হবে যেখানে হেরে যাওয়া বা জয় লাভ করার কিছু নেই। আপনার নিজের জন্যই আপনাকে এই চর্চায় অংশগ্রহণ করতে হবে। তাই নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে। এছাড়া এর সুফল পাওয়া সম্ভব নয়।
৩। ভরা পেটে ইয়োগা করবেন না
ইয়োগা টিচার ক্রিস্টিন ম্যাকগি এর মতে ইয়োগা অনুশীলনের ১ ঘন্টা আগে খেয়ে নিতে হবে। যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে ইয়োগা করার ২০ মিনিট আগে ১টা কলা খেয়ে নিতে পারেন। খাওয়ার সাথে সাথে ইয়োগা করলে হজমে সমস্যা হতে পারে।
৪। সব সময় ভাবতে হবে যে মাত্রই শুরু করেছেন
অনুশীলনে মাস বা বছর পার হয়ে গেলেও নিজেকে আরম্ভকারী হিসেবেই গণ্য করতে হবে। যে নিয়ম গুলো শিখছেন তা মনে রাখার চেষ্টা করুন। যদি আপনি ৫০০ ঘন্টার ইয়োগা টিচার্স ট্রেনিং ও সম্পন্ন করে ফেলেন তাও আপনাকে মনে করতে হবে যে,আপনি এখন ও শিক্ষানবিস আছেন।
৫। দমই সবকিছু
ক্লাসের প্রথম দিন থেকে দম নেয়া ও দম ছাড়ার প্রতি পূর্ণ মনোযোগ দিন। যখন আপনি গভীর ভাবে দম নিতে ও ছাড়তে পারবেন তখনই চমৎকার অনুভুতি অনুভব করতে পারবেন। প্রশান্ত হওয়ার সবচেয়ে বড় কৌশল এটা।
ইয়োগা করার সময় জুতা-মোজা খুলে রাখুন, মোবাইল সাইলেন্ট করে রাখুন,আরামদায়ক পোশাক পরুন,হাতের কাছে তোয়ালে রাখুন ঘাম মোছার জন্য। ইয়োগা করার সময় ক্লান্ত লাগলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে নিন।
আপনার ইয়োগা শিক্ষককে অনুসরণ করাটা কঠিন মনে হতে পারে। আপনার মনে হতে পারে খুব দ্রুত অথবা খুবই আস্তে শেখাচ্ছেন। শিক্ষকের পদ্ধতিকে বিশ্বাস করে আপনাকে সামনে এগোতে হবে। যদি কোন শিক্ষকের পদ্ধতি আপনাকে অনুরণিত না করে তাহলে অন্য শিক্ষকের কাছে যেতে হবে। ইয়োগার সব পদ্ধতি সবাই শিখতে পারবেন না। আপনার জন্য কোন আসনটি প্রযোজ্য তা জেনে নিয়ে শুরু করুন ইয়োগা।
আপনি নিজেকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করতে চান? কিন্তু কি করে কি করতে হবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। তাদের জন্যই এ সাত প্রকার ব্যায়াম। এগুলো আপনার দেহ গঠনে ভূমিকা রাখবে।
পাশাপাশি অতিরিক্ত চর্বি পুড়িয়ে দেহকে মুটিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে। তবে এর সঙ্গে অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। সুতরাং অন্য কিছু না করে চলুন ব্যায়াম সাতটি করা যাক:
দড়ি লাফ:  সর্বশেষ কবে দড়িতে লাফিয়েছেন? নিশ্চয়ই ছোট থাকতে। কিন্তু এর উপকারিতার কথা জানলে এ বয়সেও লাফাতে মন চাইবে। দড়ি লাফ সবচেয়ে সহজে সবখানে করা যায় এমন একটি ব্যয়াম। যেকোনো ব্যায়ামের চেয়ে এটি প্রতি মিনিটে দ্রুত ক্যালোরি পোড়ায়।
স্কোয়াটস: দেহের কোনো বিশেষ অঙ্গ নয়, স্কোয়াটসের মাধ্যমে পুরো দেহের ব্যায়াম হয়। শক্তিশালী এ ব্যায়াম আপনার দেহের মাংসপেশী শক্ত করে ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করবে।
পুশআপ: কষ্টদায়ক বলে অনেকেই পুশআপ এড়িয়ে চলেন। কিন্তু এটি আপনার দেহের জন্য অত্যন্ত দরকারি। বিভিন্ন ধরনের পুশআপে বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। এছাড়া হার্ট, কার্ডিওভাসকুলার, ব্যাকপেইন ও পোশ্চারের জন্যও পুশআপ উপকারি।

লাঙ্গস: পায়ের মাংসপেশি গঠনে লাঙ্গস খুব দরকারি। প্রতিদিন ৩ সেটের ১০টি লাঙ্গস সবচেয়ে ভালো ফল দেয়।
সাঁতার:  সাতারপ্রেমীদের জন্য সুখবর-দেহ গঠনের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যায়াম হচ্ছে সাতার। যেহেতু সাঁতারে দেহের প্রতিটি অঙ্গপ্রতঙ্গ নড়াচড়া করে, তাই মাংসপেশি মজবুত করতে সাঁতারের বিকল্প নেই। সেসঙ্গে রক্তচাপ ও হৃদপিণ্ডের জন্যও এটি কার্যকরী।

দৌঁড়ানো: দৌঁড়ের উপকারিতা অনেক। চাপমুক্ত রাখতে, হৃদপিণ্ড সবল করতে, হতাশা দূর করতে ও ক্যালোরি ধবংস করতে এর বিকল্প নেই।

সাইক্লিং: নিজেকে ফিট রাখতে সাইক্লিং অনেক উপকার করে থাকে। এটি আপনার পা, মাংসপেশি ও দেহের পেছনের অংশ ঠিক রাখবে। হৃদপিণ্ড সচল রেখে ওজন কমাবে।
গ্রীষ্মের দাবদাহে সব বয়সী মানুষের প্রাণই ওষ্ঠাগত প্রায়। তবে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় শিশুরা। এই গরমে তাদের যত্ন নিতে হবে। তাহলেই শিশুরা থাকবে সুস্থ এবং প্রাণবন্ত। তাই জেনে নিন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য ও পরামর্শ:
—একটি শিশুর শরীরে গড়ে প্রতিদিন এক থেকে দেড় লিটার পানি প্রয়োজন হয়। শিশুরা ঘামে বেশি, তাই প্রচুর পরিমাণ পানি পান করাতে হবে। মৌসুমি ফলের মধ্যে তরমুজ, আনারস, আম, কাঁঠাল, লিচু, আঙুর, বাঙ্গি, আপেল খাওয়াতে পারেন। এ ক্ষেত্রে শিশুর পছন্দকে গুরুত্ব দিন। ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা কোমল পানীয় বা কৃত্রিম জুস পান করাবেন না। এগুলো শিশুর জন্য ক্ষতিকর।
—এ মৌসুমে শিশুরা ভাইরাসজনিত জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে, যা পাঁচ-সাত দিন স্থায়ী হয়। অনেক সময় বোঝা যায় না, শিশুকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া উচিত কি না। জ্বর ১০০ ডিগ্রি হলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়াতে পারেন। শিশুকে ভারী কাপড়ে না ঢেকে বরং পাতলা জামাকাপড় পরাবেন। ঘরের ফ্যান চালিয়ে রাখুন।
—গরমে শিশুদের চুলের গোড়া ঘেমে যায়। তাই চুল যতটা সম্ভব ছোট রাখাই ভালো। এতে চুলের গোড়া ঘেমে গেলেও তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। যেসব শিশুর ঠান্ডার সমস্যা আছে, তাদের চুল কখনোই বড় রাখা উচিত না। গোসলের পর চুল ভালোভাবে মুছে দিন। বড় ফাঁকওয়ালা চিরুনি দিয়ে চুল ঠিকভাবে আঁচড়ানো উচিত। এরপর চুল শুকিয়ে গেলে তা ভালোভাবে বেঁধে দিন। রোদ থেকে ঘরে ফিরেই সঙ্গে সঙ্গে শিশুকে গোসল করানো থেকে বিরত থাকুন।
—গ্রীষ্মকালে শিশুকে প্রতিদিনই গোসল করাতে হবে। ঠান্ডা বা সর্দি-কাশির ভয়ে অনেকে সন্তানকে গোসল করাতে চান না। কিন্তু প্রচণ্ড গরমে শরীরের ঘাম জমে গিয়ে আরও অসুখ-বিসুখের শঙ্কা থাকে। গোসলের সময় শিশুর গায়ে সাবান দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। তবে শ্যাম্পু বেশি ব্যবহার না করাই ভালো, সপ্তাহে দুদিনই যথেষ্ট। গোসলের পর শিশুর শরীর ও মাথা ভালো করে মুছে দিয়ে পাউডার লাগানো ভালো। এতে করে ঘামাচির যন্ত্রণা থেকে শিশু থাকবে নিরাপদ। শিশুর ব্যবহৃত প্রসাধন সামগ্রী যেন অবশ্যই ভালো মানের হয়।
—ঘামাচির যন্ত্রণা বেশি হলে শিশুকে হিস্টাসিন বা অ্যান্টিহিস্টামিন সিরাপ দিন। এতেও চুলকানি না কমলে হাইড্রোকর্টিসন (১%) মলম দিনে ২ বার করে ৫ থেকে ৭ দিন লাগাতে হবে। গরমের সময় লোশন ব্যবহার মোটেও ঠিক নয়। এতে বাচ্চার শরীরে ঘাম জমে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
—গরমে শিশুদের অবশ্যই নরম ও পাতলা সুতি কাপড়ের ঢিলেঢালা পোশাক পরাতে হবে। কেননা, শিশুরা ঘামে বেশি। ঢিলেঢালা পোশাকে বাতাস ঢুকতে পারে, এতে সহজেই ঘাম শুকিয়ে যায়। এ ছাড়া থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট পরালে আরাম পাবে।
—গ্রীষ্ম ও বর্ষায় পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব যায় বেড়ে। তাই সাবধান। খাওয়ানোর আগে শিশুর ব্যবহৃত বাটি, প্লেট সেদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। খাবার পানি ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। খাবার তৈরি ও পরিবেশনের আগে হাত ভালো করে ধুয়ে নিন।

Wednesday, April 5, 2017

কানে পানি ঢুকে কান বন্ধ হয়ে যাওয়ার চাইতে বিব্রতকর সমস্যা আর কিছুই হতে পারে না। খুবই বিচিত্র একটা অনুভব, সেটা কাউকে ব্যাখ্যা করা অসম্ভব। অন্যদিকে কানে পানি রয়ে গেলে কান পাকা ও তীব্র ব্যথা সহ নানান রকমের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। অনেকেই কানে পানি ঢুকলে কটন বাড দিয়ে পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন। এই কাজটি একেবারেই ভুল! বরং জেনে নিন কান থেকে পানি বের করার ৬টি সঠিক উপায়।

১) কান থেকে পানি বের করার সবচাইতে নিরাপদ উপায়টি হচ্ছে গ্রাভিটিকে কাজ করতে দেয়া। যে কানে পানি ঢুকেছে, সেই দিকে মাথাটি কাত করুন। তারপর হাতের তালু রাখুন কানের উপরে এবং চাপ দিন। চাপ দিয়েই হাতটি সরিয়ে নিন। দেখবেন খানিকটা পানি বের হয়ে গেছে। এভাবে বেশ কয়েকবার করুন। পানি বের হয়ে কান বন্ধ হওয়ার সমস্যা দূর হবে।

২) আরেকটি উপায় হচ্ছে নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে পানি বের করা। একটি লম্বা শ্বাস নিন, এবার দুই আঙুল দিয়ে নাকের ফুটো বন্ধ করে ফেলুন। এখন এই বন্ধ নাক দিয়েই নিঃশ্বাস ফেলার চেষ্টা করুন। খুব জোরে বল প্রয়োগ করতে হবে না, সাধারণত যেভাবে নিঃশ্বাস ফেলেন সেভাবে ফেললেই হবে। কানে আওয়াজ শুনতে পাবেন, বুঝবেন যে পানি বের করে বন্ধ কান ঠিক হয়ে গেছে।

৩) যে কানে পানি ঢুকেছে, সেই কানটি বালিশে চাপা দিয়ে শুয়ে থাকুন এবং সম্ভব হলে ঘুমিয়ে পড়ুন। ঘুম ভাঙলে দেখবেন পানির সমস্যা নেই।

৪) চুইং গাম বা যে কোন কিছু চিবিয়ে খান। যেটা বেশ করে চিবাতে হয়, এমন খাবার বেছে নিন। খাবার চিবানোর সময় যে মুভমেন্ট তৈরি হবে, সেটা বন্ধ কানকে খুলে দিতে সহায়ক।

৫) হাই তুললেও কানের পানি বেরিয়ে বন্ধ কান খুলে যায়।

৬) হেয়ার ড্রায়ার বেশ ভালো কাজ করে এক্ষেত্রে। একদম লো-তে ড্রায়ার সেট করুন। তারপর কান থেকে ১০/১২ ইঞ্চি দূরে রেখে তাপ দিন। কানের পানির সমস্যা দূর হবে।
যদি কিছুতেই কিছু না হয়, অতি সত্বর ডাক্তারের কাছে যান। অনেক সময় ওষুধেরও প্রয়োজন পড়ে কানের পানি বের করতে। তাই এই বিষয়টিকে অবহেলা করবেন না মোটেও।

Monday, April 3, 2017

কমবেশি ভয় অনেকেরই লাগে। কিন্তু এই ভয়ের কারণে যখন কোন ব্যক্তির কাজের ব্যাঘাত ঘটে, চলাফেলা সীমাবদ্ধ হয়ে যায় তখনই চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। এই ভয়ভীতি সমস্যা নিয়ে ফকির-কবিরাজ এ-ডাক্তার ও-ডাক্তার দেখাতে দেখাতে সর্বস্বান্ত হয়েছে অনেকে।
লক্ষণ:
১. অহেতুক ভীতি, বুকধড়ফড়, অস্থির, অশান্তি লাগা।
২. হঠাৎ দুঃসংবাদ কিছু শুনলে খুব বেশি নার্ভাস হয়ে যায়, মুখ শুকিয়ে যায়, অস্থির হয়ে পড়ে, মাথায় পানি ঢালতে হয়।
৩. দেখা গেছে, সিলেট থেকে ঢাকা আসার সময় আমজাদ মিয়া তার ৬ বছরের ছেলেকে সঙ্গে করে আসছেন কারণ পথে যদি পড়ে যাই অথবা অসুস্থ হয়ে যাই, ছেলে ধরতে পারবে। সঙ্গে লোক থাকলে সাহস লাগে তখন চলাফেরা করা যায়।
৪. বাথরুমে গেলে দরজা খোলা রাখতে হয়, দরজা বন্ধ করলে দম আটকে আসে।
৫. দেখা যায় পরীক্ষার ভয়ে অনেক ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হয়ে যায়। কেউ কেউ এত নার্ভাস থাকে যে, তিনদিন আগে থেকেই বুক লাফায়, মুখ শুকায়, কথা বের হয় না, ঘুম হয় না, পাতলা-পায়খানা শুরু হয়ে যায়।
৬. পাত্র পক্ষ মেয়েকে দেখতে আসেব, টেনশনে অস্থির কিভাবে ছেলের মার কাছে হাজির হবে, কি জিজ্ঞাসা করবে? এসব টেনশনে মেয়ের ঘুম, খাওয়া-দাওয়া বন্ধ প্রায়।
৭. সৌদি চাকরি করতে যাবে সবকিছু ঠিকঠাক কিন্তু বাধা হলো বিমানে উঠতে ভয়, পরে বাধ্য হয়ে ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
৮. এমনও দেখা গেছে, বেশি মানুষের সামনে দিয়ে হাঁটাচলা করতে পারে না মনে হয় মানুষগুলো তার দিকে শকুনের মতো তাকিয়ে আছে।
৯. সুলতান মিয়া অফিসে বসের ভয়ে চাকরি ছাড়ার উপক্রম। বসকে দেখলেই বুক ধড়ফড়, কাঁপে, অস্থির লাগে। পরে আত্মীয়স্বজনের পরামর্শ ক্রমে সাইক্রিয়াটিক দ্বারা চিকিৎসা করে এখন নিয়মিত চাকরি করছে।
১০. শিক্ষকদের বেত ও মারের ভয়ে মাদ্রাসার ছাত্র লিমন এখন পড়ালেখাই বন্ধ করে দিয়েছে।
১১. বাইরের গেটের চাবি হাতে না থাকলে টেনশনের আর শেষ থাকে না। যদি অসুস্থ হয়ে যাই বের হবো কিভাবে এই রকম হাজারো রোগী অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বিভিন্ন ডাক্তার দেখিয়ে কোন ফল পায় নাই তখন রোগীদের ভীতি আরও বেড়ে যায়। এক সময় তারা ঘর থেকেই বের হতে ভয় পায়।

কি কি কারণে হয়
১. কবরস্থান, মৃত ব্যক্তি, দুর্ঘটনার খবর, রোগী, হাসপাতাল, রক্ত ইত্যাদির ভয়।
২. অহেতুক ভয় যদি পড়ে যাই। নিকট আত্মীয় কেউ হার্টের অসুখে মারা গেছে তারপর থেকেও ভয় শুরু হতে পারে।
৩. শিক্ষকদের বেতের অথবা মারের ভয়।
৪. অফিসের বসের ভয়।
৫. পোকা-মাকড়ের ভয়।
৬. বিমানে উঠতে ভয়।
৭. পরীক্ষার আগে ভয়।

কাদের মধ্যে বেশি
১. ছোটবেলা থেকেই লাজুক প্রকৃতির, কম কথা বলে, বন্ধুত্ব কমÑএই ধরনের ছেলেমেয়েদেরও মধ্যে বেশি দেখা যায়।
২. বিভিন্ন সামাজিক বাধার মধ্যে বড় হয়েছে এমন ছেলেমেয়েদেরও দেখা যায়।
৩. মানসিক চাপের মধ্যে ছিল অথবা জীবনে কোন নেতিবাচক পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে বায়োলজিক্যাল কারণ। অতএব, ফোবিয়া একটি মানসিক সমস্যা। যার চিকিৎসা আছে। এই চিকিৎসায় ১০০% রোগীই সুস্থ হয়ে যায় এবং যার যার কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারে। 

Saturday, March 25, 2017

আমরা অনেকেই ভাবি, “কোনো সমস্যা বা খারাপ কিছু হলে আমরা এমনিতেই হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়বো, এটাই স্বাভাবিক” কিন্তু আসলে কি তাই?
হতাশাকে এক ধরনের মানসিক রোগ হিসেবে ধরতে পারেন যা ক্রমেই বাড়তে থাকে এবং সময়মতো এর চিকিৎসাও করা যায়। চলুন হতাশা দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় সম্বন্ধে জানি-
হতাশা দূর করার উপায়
১। খাবার গ্রহণ
হতাশা কমিয়ে আনার কোনো আদর্শ ডায়েট নেই। তবে এ সময় যা যা খেতে ভালো লাগে সেগুলো খেতে হবে। হতাশার কারণে খেতে ইচ্ছা নাও করতে পারে। তাই আপনার সবচেয়ে প্রিয় খাবারটি খাওয়ার চেষ্টা করুন। খাবারটি স্বাস্থ্যকর হলে আরও ভালো।
২। ব্যায়াম করা
ব্যায়াম করার সময় আমাদের শরীরে এন্ডরফিন নামক এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয় যা আমাদের হতাশা দূর করতে সাহায্য করে।
৩। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান
হতাশার মধ্যে থাকলে অনেকেই ঠিক মতো ঘুমাতে পারেন না। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে পারলে আমাদের শরীর স্বাভাবিক নিয়মে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে যা আমাদের হতাশা দূর করতে সাহায্য করে।
৪। লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
সাধারণত আমরা হতাশ হয়ে যাই তখনি যখন আমাদের কোনো লক্ষ্য পূরণ হয় না। তাই বলে সেটা নিয়ে বসে থাকবেন না। নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করে সেটা পূরণ করার চেষ্টা করুন। সেটা পূরণ না হলে আরও একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। হাল ছাড়বেন না।
৫। গ্রিন টি পান করুন
গ্রিন টি, ক্যামোমেইল টি ইত্যাদি ঔষধি চা আমাদের মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া এরকম আরও অনেক খাবার খেতে পারেন যা আপনাকে হতাশা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
৬। মেডিটেশন
যদিও এটি বাংলাদেশে তেমন একটা প্রচলিত নয় তবুও মেডিটেশনের মাধ্যমে অনেক বড় বড় মানসিক সমস্যা দূর করা সম্ভব। চেষ্টা করে দেখুন। আশা করি উপকৃত হবেন।
মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার বেশীরভাগ কারণ খারাপ স্বপ্ন দেখা। অথবা রাত্রে ঝুম বৃষ্টি শুরু হলে ঘুমের মাঝে পড়ে ছেদ। কিন্তু আপনি হয়তো খেয়াল করছেন কোনো কারণ ছাড়াই মাঝরাতে আপনার ঘুম ভেঙে যাচ্ছে, এমনটা হলে নিজের শরীর ও স্বাস্থ্যের দিকে একটু মনোযোগ দিন আর দেখুন এসব কারণ দায়ী কিনা। কারণ রাত্রে নিরবচ্ছিন্ন ঘুম হওয়াটা সব বয়সের মানুষের জন্যই জরুরী।
শিশু বা তরুণ বয়সে টানা ৮ ঘণ্টা ঘুমাই আমরা। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক হবার পর রাত্রে এক-দুইবার ঘুম ভাঙ্গে আমাদের এবং আমরা অনেক ক্ষেত্রেই সাথে সাথে আবার ঘুমিয়ে পড়ি, সকালে আর মনেও থাকে না যা ঘুম ভেঙ্গেছিলো। কিন্তু আপনার ঘুম ভাঙার পর যদি আর ঘুমিয়ে পড়তে না পারেন, তাহলে তা সমস্যা বটে। দেখে নিন কী কী কারণে ঘুমের এমন সমস্যা হতে পারে।
১. উষ্ণ ঘর 
রুম টেম্পারেচারের সাথে ঘুমের মানের বড় সম্পর্ক আছে। ঘুম হবার জন্য ঘরের তাপমাত্রা কম হওয়া জরুরী। বেশি গরম ঘরে ঘুম আসতে দেরি হবে এবং ভালো ঘুম হবার সম্ভাবনা কম। ঘুম ভেঙ্গে যাবার সম্ভাবনাও বেশি। একেক মানুষের জন্য একেক টেম্পারেচার উপকারী তাই আপনি নিজেই এক্সপেরিমেন্ট করে দেখতে পারেন। তবে নিজের শরীরের চাইতে একটু কম তাপমাত্রাই ঘুমের জন্য ভালো।
 
২. শক্ত বিছানা 
আমরা অনেকেই ভাবি শক্ত বিছানা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কিন্তু খুব বেশি শক্ত বিছানা আবার ঘুমের জন্য ভালো নয়। এগুলো আমাদের কোমর এবং কাঁধে চাপের সৃষ্টি করে এবং পিঠের নিচের দিকে ব্যথা তৈরি করতে পারে। ফলে আপনার শান্তির ঘুম হয় না। আপনার শরীরের জন্য আরামদায়ক, এমন একটি ম্যাট্রেস বেছে নিন।
৩. রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম 
এটা মূলত প্রতি দশজন আমেরিকানের মাঝে একজনের হয় থাকে। তবে আপনিও হয়তো এই অভিজ্ঞতা পেয়েছেন। অনেক সময়ে ঘুমের মাঝে পা নাড়ানোর ঝোঁক হতে পারে। পা নিজের অজান্তেই নাড়ানোর কারণে ঘুম ভেঙ্গে যেতে পারে। আপনি যদি অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করে তাহলে এই সমস্যা আরও প্রকট হতে পারে।
৪. আপনার স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে অথচ আপনি জানেন না
স্লিপ অ্যাপনিয়া সমস্যার কারণে অনেকেই ঘুমাতে পারেন না। আপনারও হয়তো এই সমস্যাটি আছে অথচ আপনি জানেন না। এই সমস্যার পাশাপাশি থাকতে পারে জোরে জোরে নাক ডাকা, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসা। এই সমস্যা থেকে আপনার মস্তিষ্ক আপনাকে জাগিয়ে তোলে। আপনি বা আপনার শয্যাসঙ্গী যদি জানতে পারেন আপনার নাক ডাকা ও নিঃশ্বাসে সমস্যা হচ্ছে তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
৫. আপনি অনেক স্ট্রেসে আছেন 
অনেকেই স্ট্রেসে থাকার কারণে ঘুমাতে পারেন না। ঘুমালেও তাদের ঘুম সহজেই ভেঙ্গে যেতে পারে স্ট্রেসের কারণে। এর জন্য দিনের বেলায় একটু করে ব্যায়াম করতে পারেন, ল্যাভেন্ডার অয়েলের সুগন্ধি রাখতে পারেন ঘরে। এই স্ট্রেস দূর করতে পারলে ঘুম আসবে সহজে।
৬. ত্বক জ্বালাপোড়া ও চুলকানি
একজিমার মতো ত্বকের সমস্যাগুলো ঘুমের ব্যঘাত ঘটাতে পারে। একজিমার ফলে ইমিউন সিস্টেমে পরিবর্তন আসে এবং ইনফ্ল্যামেশনের কারণে রোগীর ঘুম ঠিকমতো হয় না। একজিমার রোগীদের চুলকানি সন্ধ্যা থেকে বাড়তে থাকে। ফলে তারা সহজে ঘুমাতে পারেন না এবং ঘন ঘন ঘুম থেকে জেগে ওঠেন। এমন সমস্যা আপনারও হয়ে থাকলে ডাক্তারের সাথে কথা বলে সমাধানের ব্যাপারে জেনে নিন।
এ সমস্যা দূর করতে যা করনীয়- 
♦ শুয়ে থেকেও যদি ঘুম না আসে, তাহলে একটু হাঁটাচলা করুন, স্ট্রেচ করতে পারেন। নিজেকে রিল্যাক্স করুন, এরপর আবার বিছানায় যান
♦ ফোন বা ট্যাবলেট বেডরুম থেকে বের করে দিন
♦ পোষা প্রাণীকে বেডরুমে রাখবেন না

Sunday, March 19, 2017

আপনার সন্তান হয়তো সব রকম খাবার খেতে চায় না। কিন্তু ব্রেনের সঠিক বিকাশের জন্য কয়েকটা খাবার‚ যার মধ্যে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি পরিমাণে থাকে তা রোজকার ডায়েটে থাকা খুব জরুরি। তাই বাচ্চাকে যদি অন্যদের থেকে স্মার্ট আর বুদ্ধিমান করে তুলতে চান তাহলে অবশ্যই নিচের এই দশটা খাবার খাওয়াতে হবে।

আপেল:
বাচ্চা হোক বা বুড়ো ফল সবার জন্যেই ভালো। সবরকমের ফলই বাচ্চাদের উপকারে আসবে। কিন্তু আপেলে এক ধরণের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যার নাম Quercetin। এটা ব্রেনের বিকাশের জন্য খুব ভালো। পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে বাচ্চারা রোজ একটা করে আপেল খেয়েছে তাদের মনঃসংযোগ অন্যদের থেকে অনেক বেশি|

ডিম:
ডিমের কোনো জুড়ি হয় না। এটা শুধুনাত্র বাচ্চার ব্রেনের বিকাশ ঘটায় তাই নয়‚ সারা শরীর হেলদি রাখে। এছাড়াও নিয়মিত ডিম খেলে স্মৃতি শক্তিও বাড়ে। বেশির ভাগ বাচ্চাই ডিম খেতে ভালোবাসে। তাছাড়াও ডিমের এত রকমের প্রিপারেশন হয় যে রোজ ডিম সেদ্ধ বা ডিমের পোচ না দিলেও চলবে।

মাছ:
মাছে ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা বাচ্চাদের ব্রেনের বিকাশের জন্য অত্যন্ত জরুরী। এছাড়াও মেমরি লস হতে দেয় না।

দই:
দইয়ের মধ্যে ক্যালাসিয়াম আর প্রোটিন পাওয়া যায় যা বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য খুব জরুরী। এছাড়াও দইয়ের মধ্যে প্রোবায়োটিকস আছে যা ব্রেনের বিকাশের সাহায্য করে। এছাড়াও দেখা গেছে দই খেলে বাচ্চার মুডেরও পরিবর্তম ঘটে।

ওটমিল:
এত দিনে নিশ্চই জেনে গেছেন চিনি দেওয়া কর্ণফ্ল্যেক্স বা অন্য কোনো মিষ্টি মেশানো ব্রেকফাস্ট খাওয়া কতটা ক্ষতিকারক। তাই সকালে এইসব না দিয়ে বাচ্চাকে ওটস খাওয়ান। ওটস শরীর থেকে ব্যাড কোলেস্ট্রোল শুষে নেয় ফলে বাচ্চার ব্রেনের আর্টারী পরিষ্কার থাকে। এর ফলে বাচ্চার স্মৃতিশক্তি বাড়ে। বাচ্চা ওটস খেতে না চাইলে তাতে কাজু‚ কিসমিশ‚ স্ট্রবেরি‚ চেরি মিশিয়ে দিন।

অলিভ অয়েল:
অলিভ অয়েলে ম্যনো স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা বাচ্চা বা বুড়ো সবার সুস্বাস্থ্যের জন্যেই দরকারী। তাই রেগুলার তেলের বদলে অলিভ অয়েল দিয়ে রান্না করার চেষ্টা করুন। অবশ্য ভাজাপোড়া যতটা কম খাওয়াবেন তত ভালো। কারণ অলিভ অয়েলেই ভাজুন বা এমনি তেলে‚ ভাজাভুজি সব সময়ই শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।

আমন্ড:
ফ্যাটি অ্যাসিড ছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায় যা ড্যামেজড ব্রেন সেল রিপেয়ার করে। এছাড়াও স্মৃতি শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে আমন্ড বাদাম। এমনি না খেতে চাইলে আমন্ড বাদাম দিয়ে মিল্ক শেক বানিয়ে দিন বাচ্চাকে।

গ্রিন লিফি ভেজিটেবিলস:
গ্রিন লিফি ভেজিটেবল যেমন পালং শাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা ব্রেনের বিকাশ ঘটায়। এছাড়াও বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে পালং শাক।

অ্যাভোকার্ডো:
আমাদের শরীরে যা দরকার হয় মোটামুটি সবই এই ফলে পাওয়া যায়। উপরন্তু এতে গুড ফ্যাট আছে যা বাচ্চার ব্রেনকে ডেভেলপ করতে সাহায্য করে। তবে বাচ্চাদের এর টেস্ট হয়তো ভালো নাও লাগতে পারে। তাই এর স্যান্ডউইচ বানিয়ে দিন। বা চিপসের সঙ্গেও খাওয়াতে পারেন অ্যাভোকার্ডো দিয়ে।

আখরোট:
আমরা ছোটবেলায় অনেকেই ভাবতাম এটা মাথার ঘিলুর মতো দেখতে তাই এটা মাথার জন্য ভালো। সেই ভাবনায় কিন্তু কোনো ভুল ছিল না। আখরোটে ওমেগা ৩ পাওয়া যায়‚ যা হলো গিয়ে আল্টিমেট ব্রেন বুস্টার। এছাড়াও এতে ভিটামিন E আছে যা ব্রেন সতেজ রাখে।

Saturday, March 18, 2017

গর্ভাবস্থায় মায়েদের অনেক বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হয়। এ সময় ভ্রূণের সঠিক বৃদ্ধির জন্য নারীদের স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হয়। তবে না জেনেই গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যকর ভেবে এমন অনেক খাবার খাওয়া হয়, যেগুলো গর্ভাবস্থায় খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক খাবার আছে যা স্বাস্থ্যকর হলেও গর্ভপাতের কারণ হতে পারে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে এসব খাবার এড়িয়ে যাওয়া জরুরি।  তাই এ সময় সর্তকতার সঙ্গে খাবার গ্রহণ করা উচিত। দেখে নিন যেসব খাবার গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলাই ভালো-    

আনারস
আনারস বা আনারসের জুস খাওয়া গর্ভপাতের কারণ হতে পারে। আনারসের মধ্যে রয়েছে ব্রোমেলেইন। এটি গর্ভপাতের  জন্য দায়ী। তাই গর্ভাবস্থায় এই খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভালো।

বেগুন
বেগুন আপনার পছন্দের সবজি হতেই পারে। আর সবজিটি আয়রনের অন্যতম একটি উৎস। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, বেগুন এমন একটি সবজি যা মিসক্যারেজের জন্য একটি ঝুঁকিপূর্ণ কারণ হতে পারে। 

পেঁপে
পেঁপে আরেকটি ক্ষতিকর খাবার গর্ভাবস্থায়। কাঁচা ও সবুজ পেঁপের মধ্যে এক ধরনের অ্যানজাইম থাকে, যেটি গর্ভপাতের কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, পেঁপে পাকলে খাওয়া যাবে। তবে সেটিও গাছপাকা হতে হবে। বর্তমানে বেশির ভাগ সময় পেঁপে রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে পাকানো হয়। এসব পাকা পেঁপেও ক্ষতিকর। 

প্রাণীর লিভার
লিভার বেশ স্বাস্থ্যকর খাবার। এতে ভিটামিন-এ ভরপুর রয়েছে। তবে গর্ভের শিশুর জন্য এটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ খাবার। মাসে এক বা দুবার খেলে এটি বেশি ক্ষতি করবে না। তবে প্রতিদিন খেলে ভ্রূণের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

ব্রকোলি
ব্রকোলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এই অতিরিক্ত ভিটামিন সি গর্ভের শিশুর জন্য খুব একটা উপকারী নয়। বিশেষ করে গর্ভধারণের প্রথম তিনমাসে এটি যদি আপনি আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখেন,তাহলে হতে পারেন গর্ভপাতের শিকার। 

পুঁইশাক
পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে এবং আয়রন। কিন্তু আপনি যদি আপনার গর্ভকালীন অবস্থায় নিয়মিত খাদ্যতালিকায় এই সবজিটি রাখেন,তাহলে তা গর্ভপাতের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর যদি খেতেই চান তাহলে মাসে একবারের বেশি নয়। সবচেয়ে ভালো হয় পুঁইশাক এড়িয়ে চলতে পারলে।

অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা চুল, ত্বক এবং হজমের জন্য ভালো। তবে গর্ভাবস্থায় অ্যালোভেরা জুস খাওয়া এড়িয়ে যাওয়া উচিত। এটি গর্ভপাত ঘটাতে পারে।
 
বীট
বীটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে এবং আয়রন, যা খাওয়া গর্ভবতী মায়েদের জন্য ঠিক নয়। তাছাড়া বীট গরমজাতীয় সবজি, যা গর্ভকালে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের কারণ হতে পারে। 

সজনে
এতে রয়েছে ভিটামিন, আয়রন ও পটাশিয়াম। এগুলো শরীরের জন্য ভালো। তবে এতে আলফা সিটোসটেরল নামে এক ধরনের উপাদানও রয়েছে, যা গর্ভাবস্থায় গ্রহণ করা ক্ষতিকর। এটি গর্ভপাত ঘটাতে পারে।

তিলের বীজ
গর্ভবতী নারীদের তিলের বীজ বেশি খাওয়া উচিত নয়। তিলের বীজ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে গর্ভপাত হতে পারে। তাই এই খাবারও এড়িয়ে যান।

কাঁকড়া
অনেকে কাঁকড়া খেতে পছন্দ করেন। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ক্যালসিয়াম। তবে গর্ভাবস্থায় বেশি কাঁকড়া খাওয়া এড়িয়ে যাওয়া উচিত। এটি জরায়ুকে সংকুচিত করে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত ঘটায়। এ ছাড়া এতে উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরল রয়েছে। এটিও গর্ভবতী নারীর জন্য ক্ষতিকর।


হুট করে মাথাব্যথা শুরু হওয়া বা মাইগ্রেইনের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার মূলে থাকতে পারে জীবনযাপনে কিছু ভুল অভ্যাস। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত। জেনে নেয়া যাক তেমনই কিছু ব্যাপার-

# দিনের শুরুতে ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন: মাথাব্যথা কমাতে চা বা কফি সহায়ক এমন ধারণা বেশ পুরাতন। কিন্তু ক্যাফেইনের কারণে অ্যাসিডিটিও হতে পারে। তাছাড়া পানি শূণ্যতারও কারণ হতে পারে অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ। ফলে মাথাব্যথা কিছুটা সময় কমলেও তা আবার বেড়ে যেতে পারে। এ কারণেই এই অভ্যাস ত্যাগ করা ভালো।

# পানি পান: শরীরের দূষিত পদার্থ দূর করার জন্য পানি অত্যন্ত কার্যকর। মাথাব্যথা উপশমেও পানি বেশ ভালো ফল দেয়। তাই পানিশূণ্যতা এড়াতে প্রতিদিন ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।

# খাদ্যাভ্যাস: যে কোনো খাবারে ‘মোনোসোডিয়াম গ্লুটামেইট বা এমএসজি’ নামক উপাদানের আধিক্য মাথাব্যথা বৃদ্ধি করতে পারে। তাই খাবার খাওয়ার আগে এর পুষ্টি উপাদানগুলো সম্পর্কে জানা থাকা জরুরি।

# ক্ষারযুক্ত খাবার: সবুজসবজি, ফল এবং অন্যান্য ক্ষারযুক্ত খাবার মাথাব্যথা কমাতে সহায়ক। তাছাড়া ওজন নিয়ন্ত্রণেও এই খাবারগুলো বেশ কার্যকর।

# অতিরিক্ত চিনি এড়িয়ে চলুন: চিনি মাইগ্রেইনের বড় শত্রু। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকা থেকে অতিরিক্ত চিনি বাদ দিয়ে দেওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
প্রতিনিয়তই আমরা পেটে গ্যাসের সমস্যায় ভুগি। যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তাদের যে কোন খাবার থেকেই গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। সারাদিন কাজের চাপে অথবা ঠিকমত খাবার না খাওয়ার কারণেও গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।

পেটে গ্যাস হওয়া আমাদের হজম প্রক্রিয়ারই একটি অংশ, এটা ছাড়া ঠিকমতো হজম প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় না। গ্যাস্ট্রিক সমস্যা তখনই হয় যখন এই গ্যাস অতিরিক্ত হারে তৈরি হতে থাকে এবং সময়মতো বের হতে পারেনা। তাছাড়া বুক জ্বালা পোড়া, বমি বমি ভাব, টক ঢেঁকুর উঠাও গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ।

যেহেতু হজম প্রক্রিয়া থেকেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি হয় সেহেতু খাবার থেকেই এই সমস্যার সমাধানও পাওয়া যায়। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে এমন কিছু খাবার সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

আদা:
প্রত্যেক বেলার প্রধান খাবার গ্রহণের পরে তাজা ছোট এক টুকরা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। অথবা আদা চা খেতে পারেন। কয়েক টুকরা আদা পানির মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে আদা চা তৈরি করা হয়। দিনে ২-৩ বার আদা চা খেলে গ্যাস কমে যায়।

পানি:
প্রতিদিন ৮ গ্লাস পানি পান করলে অনেক সমস্যা থেকেই মুক্তি মিলবে। শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে দ্রুত খাবার হজমে সাহায্য করে পানি। এতে কমে যায় অ্যাসিডিটি।

দারুচিনি:
এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে এক চামচ দারুচিনির গুঁড়া ভালো করে গুলিয়ে পান করুন। সাথে মধুও মেশাতে পারেন। অথবা এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ দারচিনির গুঁড়া ভালো করে মিশিয়ে ২-৩ মিনিট পরে পান করুন।

ঘোল:
ঘোল বা লাবান পান করলে গ্যাস্ট্রিক কমে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস ঘোল পান করুন। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

রসুন:
রসুনের স্যুপ খেলে গ্যাস্ট্রিক কমে যায় এবং হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। কিছু পরিমাণ রসুন পিষে পানিতে মিশিয়ে কয়েক মিনিট ধরে ফোটান। এর সাথে গোলমরিচ এবং জিরা মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ঠাণ্ডা করুন। ঠাণ্ডা হলে মিশ্রণটি পান করুন। এভাবে দিনে দুই থেকে তিন বার ব্যবহার করতে থাকলে গ্যাস্ট্রিক কমে আসবে।

মৌরি:
চিবিয়ে খেতে পারেন। অথবা গরম পানির মধ্যে কিছু পরিমাণ মৌরি মিশিয়ে ৫ মিনিট ধরে ঠাণ্ডা করুন। ৫ মিনিট পরে পান করুন। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা  দূর হয়ে যাবে।

হলুদের পাতা:
হলুদের পাতা কুচি করে কেটে প্রতিদিন দুধের সাথে মিশিয়ে পান করে নিন। এতে করে পেটে ব্যথা এবং গ্যাসের সমস্যার সমাধান হবে। ২ কাপ পানিতে পেয়ারা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। পানি ১ কাপ পরিমাণে হলে ছেঁকে পান করুন। এতেও বেশ ভালো উপকার হবে।

আনারস:
আনারস খেলে অ্যাসিডিটি কমে যায়।

বেকিং সোডা ও লেবু:
বেকিং সোডা পেটের অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে তাৎক্ষণিক রেহাই পেতে সাহায্য করে। একটি গ্লাসে অল্প পরিমাণ তাজা লেবুর রসের মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ঢেলে দিন। মিশ্রণটি জমে গেলে তার উপর পানি এবং আর একটু বেকিং সোডা মিশিয়ে ভালভাবে গুলিয়ে নিন। আস্তে আস্তে মিশ্রণটি পান করুন। খালি পেটে এক গ্লাস পানির মধ্যে ১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পান করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে যায়।
Powered by Blogger.

Contact us

Name

Email *

Message *

Followers

Featured Posts

Social Icons

Pages

Facebook

Video

সর্বাধিক পঠিত

Our Facebook Page

Text Widget